পুর নির্বাচনে ১২১ নম্বর ওয়ার্ডে তৃনমূলের টিকিট পেলেও লড়বো…না পেলেও লড়বো, দাবি দেবজিৎ পান্ডের
নিজস্ব প্রতিনিধি (কলকাতা) : সারা বছর ধরে দরিদ্র মানুষের চিকিৎসা পরিষেবার স্বার্থে বিনামূল্যে ওষুধ পত্র বিতরণ করা থেকে শুরু করে করোনা আবহে ও লকডাউন পরিস্থিতিতে ত্রাণ বিতরণ কার্যে বিশেষ ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল ১২১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কর্মী দেবজিৎ পান্ডেকে। এছাড়াও বিভিন্ন জনমুখী কাজে যুক্ত রয়েছেন তিনি এমনটাই খবর। নানা সামাজিক কাজের সুবাদে আসন্ন পুর নির্বাচনে দেবজিৎ বাবু এই ওয়ার্ডে তৃনমূলের প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন বলেই তার ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে জানানো হয়েছে। তবে দলের টিকিট না পেলেও তিনি নির্বাচনে লড়বেন বলেই দেবজিৎ পান্ডের দাবি। আর এনিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে তুমুল জল্পনা।
এব্যাপারে তৃণমূল কর্মী দেবজিৎ পান্ডে বলেন, “বিগত ৪ বছর ধরে এই দলের বিভিন্ন কার্যক্রম করে চলেছি, শুধু তাই নয়, নিজের পকেটের টাকায় লকডাউন পরিস্থিতিতে দুঃস্থ মানুষকে ত্রাণ দেওয়া, সারা বছর বিনামূল্যে ওষুধ পত্র দেওয়া, আমার নিজস্ব অ্যাম্বুলেন্সে এই ওয়ার্ডের অসুস্থ মানুষকে বিনাখরচে হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়া, আমফান ঝড়ে ভেঙ্গে যাওয়া ১৫/২০ টা বাড়ি করে দেওয়া, ঝড়ে এলাকায় ইলেকট্রিকসিটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তা নিজের পয়সায় মেরামত করে দেওয়া…. কি করিনি ! এমনকি বিগত বিধানসভা নির্বাচনে বিধায়িকা রত্না চট্টোপাধ্যায় পূর্ণ আস্থা নিয়ে ১২১ নম্বর ওয়ার্ডের ইনচার্জ করেছিলেন আমাকে। সবচেয়ে বড় কথা, মানুষের সেবা করার উদ্দেশ্য নিয়েই দলটা করতে এসেছি। তাই আশাকরি আমার কাজের নিরিখে দল আমাকে মর্যাদা দেবে….।”
মর্যাদা বলতে দেবজিৎ বাবু কি বোঝাতে চাইলেন, এমনই এক প্রশ্নে, তার সপ্রতিভ উত্তর আমার একার পক্ষে সমাজের সকল মানুষের সমস্যা সমাধান করা কখনোই সম্ভব নয়, তাই রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি হয়ে ওয়ার্ডের সকল মানুষের সেবা করতে চাই….।” তবে দেবজিৎ বাবুর স্বপ্ন পূরণে বাধা হতে পারে এই ওয়ার্ডের দলীয় গোষ্ঠী কোন্দল। অন্তত: ৩ থেকে ৪ জন তৃণমূল কর্মী টিকিটের জন্য দাবিদার বলে জানা গিয়েছে। তবে সব বাধা টপকে কে টিকিট পাবেন, সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।
অবশ্য দেবজিৎ বাবুর কথার উপরে ভিত্তি করেই বোঝা গেল কাউন্সিলর হওয়ার লক্ষ্য নিয়েই তিনি এগোতে চান, সেইসঙ্গে সমস্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে চান তিনি। কিন্তু দল যদি আপনাকে টিকিট না দেয়…. প্রতিবেদকের এই প্রশ্নের উত্তরে কথা প্রসঙ্গে দেবজিৎ বাবু বললেন, “দল যদি আমাকে টিকিট নাও দেয়, জেনে রাখুন তাহলেও আমি নির্বাচনে দাঁড়াচ্ছি।” কিন্তু কিভাবে ? তিনি দৃঢ় আত্মপ্রত্যয় নিয়েই বললেন, “কেন নির্দল প্রার্থী হিসেবে…. আর নির্দল প্রার্থী হিসেবে তো সবাই দাঁড়াতে পারে। জেনে রাখুন, নির্দল প্রার্থী হিসেবেও আমি নিশ্চিত জিতবো… এ বিশ্বাস আমার আছে, জেতার পরে না হয় তৃণমূলে যাব।” এলাকার অনেকেই বলছেন, “মানুষকে পরিষেবা দেওয়ার পরও যদি দেবজিৎ বাবু দলীয় টিকিট না পান, তবে তিনি নির্দল প্রার্থী হয়েই লড়ুন, আমরা পাশে আছি.…।”
পরের খবরে চোখ রাখুন !!!
—————————————
১২১ নম্বর ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে গোষ্ঠী কোন্দল কি নিয়ে ? কেনই বা অন্তর্দ্বন্দ্ব ? কি বলছেন স্থানীয় বিধায়িকা ? এই কোন্দলের আসু সমাধান কি সম্ভব ? তৃণমূলের টিকিটে কে কে দাঁড়াতে চান এই ওয়ার্ডে ? নাকি এই ওয়ার্ডে তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে একাধিক প্রার্থী পুর নির্বাচনে নির্দল প্রার্থী কিংবা অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের হয়ে লড়াইয়ের ময়দানে অবতীর্ণ হচ্ছেন ?…….এইসব আলোচনা নিয়েই থাকবে বিশ্লেষণ।