ধনতন্রের কাছে গণতন্র আজ বিপন্ন ভোটের বাজারে শুধু বিজেপির খরচ সাতাশ হাজার কোটি টাকা

Spread the love

অয়ন বাংলা,নিউজ ডেস্ক:-টাকা মাটি টাকা ভোটে উড়ছে দেদার টাকা বাংলার এই ভোট মানেই উড়ছে দেদার টাকা। প্রচার থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেদার টাকা ওড়াচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলি। গত কয়েক দশক ধরেই এই ঘটনা সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে এবারের নির্বাচনে বিজেপি যে পরিমাণ টাকা উড়িয়েছে, তা সকলকে অবাক করে দিয়েছে। সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি খরচ করেছে মোট ২৭ হাজার কোটি টাকা।
সম্প্রতি ‘সেন্টার ফর মিডিয়া স্টাডিস’ (সিএমএস)-এর সমীক্ষার রিপোর্টে এমনটাই দাবী করা হয়েছে ।
আর এই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই বিজেপির এই অর্থব্যয়ের কারণ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে সন্দেহ দানা বেঁধেছে।
তাহলে কী সত্যিই গণতন্ত্র নয়, ধনতন্ত্রের জয় হয়েছে?- এমন প্রশ্নও উঠছে।সিএমএস প্রতিটি রাজনৈতিক দলেরই আয়-ব্যয়ের উপর সমীক্ষা চালিয়েছে। সেই সমীক্ষা রিপোর্ট অনুসারে, ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনই সবচেয়ে ব্যায়বহুল। এই নির্বাচনে সমস্ত রাজনৈতিক দল মিলিয়ে মোট খরচ হয়েছে প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা। যার মধ্যে ৪৫ শতাংশ গেরুয়া শিবির একাই খরচ করেছে।
অর্থাৎ এই নির্বাচনে প্রায় ২৭ হাজার কোটি টাকা উড়িয়েছে বিজেপি। এর আগে কোনও নির্বাচনে কোনও রাজনৈতিক দল এককভাবে এত টাকা ওড়ায়নি।

১৯৯৮ সালে শাসকদলে থাকার সময়ে বিজেপি খরচ করেছিল প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা। যা সেবারে রাজনৈতিক দলগুলির মোট ব্যয়ের ২০ শতাংশ ছিল। আর বিরোধী দলে থেকে নির্বাচনে মোট ব্যয়ের ৪০ শতাংশ খরচ করেছিল কংগ্রেস। সেখান থেকে কংগ্রেসের এবারের খরচ কমে দাঁড়িয়েছে ১৫ থেকে ২০ শতাংশে। আর অপ্রত্যাশিতভাবে খরচ বেড়েছে বিজেপির।এছাড়া প্রতিটি লোকসভা আসনের জন্য রাজনৈতিক দলগুলির মিলিতভাবে গড়ে ১০০ কোটি টাকা খরচ করেছে বলেও সিএমএস-এর সমীক্ষায় ধরা পড়েছে। একটি লোকসভার জন্য একশো কোটি টাকা সকল রাজনৈতিক দলগুলি খরচ করেছে। অর্থাৎ গড়ে ভোটার পিছু খরচ করেছে ৭০০ টাকা। যদিও ভোটার পিছু রাজনৈতিক দলগুলির এই বিপুল অর্থ ব্যয়ের কারণ স্পষ্ট নয়। এপ্রসঙ্গে সিএমএস-এর চেয়ারম্যান এন ভাস্কর রাও বলেছেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলির এই বিপুল অর্থ ব্যয় ভীতিজনক। বিষয়টি নিয়ে আমাদের চিন্তা করা উচিত। ভুল শুধরে আমাদের উচিত গণতন্ত্রকে আরও মজবুত করা।’ অর্থাত্ রাজনৈতিক দলগুলির এই বিপুল অর্থ ব্যয় এবং নির্বাচনের ফলাফল যে সন্দেহজনক, সেটা ভাস্করবাবুর কথাতেও স্পষ্ট। এবারে লোকসভা ভোটের শুরু থেকেই রাজনৈতিক দলগুলি একে-অপরের বিরুদ্ধে টাকা দিয়ে ভোট কেনার অভিযোগ তুলেছিল। ভোট চলাকালীন দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে অনেক রাজনৈতিক নেতার ঘনিষ্ঠরা টাকা সমেত গ্রেপ্তারও হয়েছিল। সেই সমস্ত অভিযোগ যে একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না, তা সিএমএস-এর সমীক্ষা রিপোর্টেই স্পষ্ট। এই টাকা দিয়ে জনগণকে প্রভাবিত করা বা ঘোড়া কেনা বেচা করা যে বাস্তব তা এই রির্পোটেই সত্যাতস প্রমাণ করছে। সত্যিই আজ গণতন্ত্র বিপন্ন টাকার কাছে ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.