দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর থেকে মন্ত্রীসভায় নতুন মুখ দিলীপ মণ্ডল ও সাগর থেকে বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা, তবে বাদ পড়লেন ২ জন মন্ত্রী
পরিমল কর্মকার (কলকাতা) : গত শনিবার (৮ মে) আমাদের এ বি এন নিউজের পক্ষ থেকে একটা আভাস দেওয়া হয়েছিল যে, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা থেকে ২ জন বিধায়ক নতুন মুখ হিসেবে রাজ্য মন্ত্রিসভায় স্থান পেতে চলেছেন। ওই সংবাদে উল্লেখ ছিল বেহালা পূর্বের বিধায়িকা রত্না চট্টোপাধ্যায় ও বিষ্ণুপুরের বিধায়ক দিলীপ মণ্ডল রাজ্যের মন্ত্রীসভায় স্থান পেতে পারেন। সব জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে শেষপর্যন্ত দিলীপ মণ্ডল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃতীয় মন্ত্রীসভায় প্রতিমন্ত্রী হিসেবে স্থান পেলেন। এইসঙ্গেই এই জেলা থেকে পূর্ণমন্ত্রী হলেন সাগরের বিধায়ক বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা। উল্লেখযোগ্য ভাবে এই জেলা থেকে বাদ পড়লেন রাজ্যের সংখ্যালঘু উন্নয়ণ দফতরের মন্ত্রী গিয়াসউদ্দিন মোল্লা ও সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরা। আর সবেমাত্র প্রথমবার বিধানসভায় নির্বাচিতর তালিকায় থাকার কারণে রত্না চট্টোপাধ্যায়ের নাম মন্ত্রী হিসেবে বিবেচিত হয়নি বলে সূত্রের খবর।
প্রসঙ্গত: ২০০১, ২০১১, ২০১৬ ও ২০২১ এ বিষ্ণুপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত হয়ে আসছেন দিলীপ মণ্ডল। মাঝে ২০০৬ সালে তিনি একবার সিপিএম প্রার্থী আনন্দ বিশ্বাসের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন। উল্লেখ্য, তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকেই দিলীপবাবু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একনিষ্ঠ কর্মী বলে জেলায় পরিচিত। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় দলের সংগঠন বিস্তৃতির ক্ষেত্রে তাঁর অবদান উল্লেখযোগ্য। তাই এতদিন পর তারই পুরস্কার পেলেন দিলীপ মণ্ডল… এমনটাই খবর দলীয় সূত্রের।
পাশাপাশি, ২০১১ ও ২০১৬ সালে বেহালা পূর্ব কেন্দ্র থেকে নির্বাচিত শোভন চট্টোপাধ্যায় রাজ্য মন্ত্রীসভায় তিনটি দফতরের মন্ত্রী ছিলেন। বছর তিনেক আগে দলত্যাগ করে তিনি বিজেপিতে নাম লেখান। যারফলে এই কেন্দ্রটি কার্যত: বিধায়ক-হীন হয়ে পড়ে। এবার (২০২১) বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল এই কেন্দ্রে প্রার্থী করেছিল শোভন জায়া রত্না চট্টোপাধ্যায়কে। তিনি প্রায় সাড়ে ৩৭ হাজার ভোটের ব্যবধানে বিজেপি প্রার্থী পায়েল সরকারকে পরাস্তও করেছেন। তবে সবেমাত্র বিধায়ক হওয়ার কারণে তিনি মন্ত্রী পদের জন্য বিবেচিত হননি বলেই সূত্রের খবর।