অমিতের সভায় এলে তবেই মিলবে নাগরিকত্ব,” বিজেপির মতুয়া টোপ ব্যর্থ
নিউজ ডেস্ক :- গত লোকসভা নির্বাচনের মতো একুশের বিধানসভাতেও মতুয়া ভোট ঝুলিতে পুরতে বৃহস্পতিবার ঠাকুরনগরের সভা থেকে একাধিক প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। টিকাকরণের পরই নাগরিকত্ব দেওয়ার কাজ শুরু হবে, আশ্বাস দিয়ে গেছেন। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, এতে চিড়ে ভিজবে না। আরও একবার মিথ্যে ভাষণে ‘জুমলা’ দিয়ে গেলেন শাহ।
মতুয়া ক্ষোভ প্রশমনেই বঙ্গ–সফরে এসেছিলেন অমিত শাহ। ‘বেসুরো’ মতুয়া সম্প্রদায়ের একাংশের বক্তব্য ছিল, নাগরিকত্ব আইন নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করুক কেন্দ্র। কিন্তু ওদিন শাহ যা বললেন, তাতে এখনও ধোঁয়াশা রয়ে গেছে, বলছেন স্থানীয়রা। তৃণমূল শিবিরের স্পষ্ট বক্তব্য, ‘এই মতুয়াদের ভোটেই তো লোকসভা নির্বাচনে বাংলা থেকে এতগুলো সাংসদ পেয়েছে বিজেপি। তাঁদের কাছে আধার–ভোটার কার্ড রয়েছে। তারপরও কেন নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে হবে তাঁদের? মতুয়ারা এদেশেরই নাগরিক।’ তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর জানান, ‘পুরো ভাওতাবাজি। মিথ্যে কথা বলে মানুষকে ভুল বোঝানো হচ্ছে। দেশে এখন সব কিছুই চালু। টিকাকরণের সঙ্গে কেন গোটা বিষয়টাকে টেনে আনা হচ্ছে, বুঝতে পারছি না। সামনে নির্বাচন, এখন এসব বললে যদি মানুষ ভোট দেন! কী নথি দেখাতে হবে, তাও বললেন না উনি। ওপার বাংলাতে থেকে তো শুধু মতুয়ারাই আসেননি, বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ এসেছেন, তাঁদের কি নাগরিকত্ব দেওয়া হবে? কিছুই তো বললেন না।’
গত বৃহস্পতিবার ঠাকুরনগরে বিজেপি নেতা অমিত শাহের সভা চলাকালে মতুয়া সম্প্রদায়ের বহু মানুষ অমিত শাহের বক্তব্যের মাঝেই সভা ছেড়ে ফিরে যান। ফলে পরবর্তীতে প্রায় ফাঁকা সভাতেই বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। যার ফলে অস্বস্তিতে পড়ে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। জনপ্রিয় মাতুয়া নেত্রী মমতা বালা ঠাকুর জানিয়েছেন, মতুয়াদের ভোট সব বিজেপিতে চলে গেছে এটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, বানোয়াট এবং মিথ্যা কথা। অমিত শাহের সভায় জনসমাগমের কারণ যে বিজেপির দেওয়া নাগরিকত্বের টোপ তাও তিনি সাফ জানিয়ে দেন। তিনি বলেন, বিজেপির তরফ থেকে টোপ দিয়ে মতুয়াদের বলা হয়েছিল অমিত শাহের সভায় যোগ দিলে তবেই মিলবে নাগরিকত্ব। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গত কয়েক বছরে মাত্র সম্প্রদায়ের উন্নতির জন্য বিভিন্ন প্রকল্প এবং পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন যার ফলে মাতোয়ারা বিজেপির মিথ্যা পা দেবেন না।