নিউজ ডেস্ক :- শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে এবার ব্যবস্থা নিতে শুরু করল তৃণমূল কংগ্রেস! জেলা সভাপতি শিশির অধিকারী এবাল পুত্র শুভেন্দুকে কড়া বার্তা দিলেন। এতদিন শুভেন্দু প্রসঙ্গে ধীরে চলো নীতি নিয়েছিলেন তিনি, এতদিন পর শুভেন্দুর বিরুদ্ধে উষ্মা প্রকাশ করলেন শিশির অধিকার। তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা শুভেন্দুকে সতর্ক করে দিলেন তিনি।
প্রায় তিনমাস ধরে শুভেন্দু তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব রেখে চলছেন। তিনি দলীয় পদ বা মন্ত্রী পরিচয় বাদ দিয়ে সমান্তরাল জনসংযোগ ও প্রচার চালাচ্ছেন। নিজেকে দলহীন প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করছেন। সম্প্রতি আবার তিনি এমনই কিছু ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন, যাতে দলীয়শৃঙ্খলা ভঙ্গের পর্যায়েও পড়েছে বিষয়টি।
তারপরই পারিবারিক সম্পর্ক বা পিতা-পুত্রের সম্পর্কের ঊর্ধ্বে উঠে শুভেন্দুকে কড়া বার্তা দিলেন জেলা সভাপতি। শিশিরবাবুর সাফ জবাব, শুভেন্দু পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কমিটির সদস্য নন, তিনি রাজ্যস্তরের নেতা। কাজেই দল সরাসরি তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতেই পারে। এর মধ্যে তাঁকে জড়ানোর কোনও প্রয়োজনও নেই।
রাজ্যের পরিবহন ও সেচমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে নন্দীগ্রাম দিবসে বিতর্ক চরমে পৌঁছয়। দলবিরোধী কথাবার্তাও শোনা যায় তাঁর মুখে। ফলে তাঁর প্রতি প্রবল অসন্তুষ্ট দল। তাই দলীয় কোন্দল বরদাস্ত নয়, শৃঙ্খলাভঙ্গ বরদাস্ত করা হবে না কিছুতেই। শুভেন্দুকে কড়া সতর্কবার্তা দিয়ে রাখল তৃণমূল কংগ্রেস।
তৃণমূল একপ্রকার স্পষ্ট করে দিয়েছে, শুভেন্দুর গতিপ্রকৃতির উপর নজর রাখছে দল। শুভেন্দু খুবই গুরুত্বপূর্ণ একজন নেতা এবং জনপ্রিয় নেতাও, তবু তিনি দলীয় শৃঙ্খলার ঊর্ধ্বে নন। তাঁকে ভুলত্রুটি শুধরে নেওয়ার সময় দিতে পারে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু না শুধরালে তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতেও পিছপা হবে না তৃণমূল।
শুভেন্দু সম্প্রতি বলেছেন, কাজ করতে গেলে কোনও পদ লাগে না। মানুষের জন্য কাজ করার ইচ্ছা থাকলেই কাজ করা যায়। সুখের দিনে না হলেও দুখের দিনে সবার আগে শুভেন্দুকে পাবেন। তারপর তিনি জানিয়েছেন, ১৯-এর মেগা শো-তে তিনি যা বলার বলবেন, সেটাই এখন জল্পনার কেন্দ্রবিন্দুতে।