মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে ইমামদের আবেদন ইদ উপলক্ষে লকডাউন শিথিল করবেন না

Spread the love

অয়ন বাংলা .নিউজ ডেস্ক:- এক বিবৃতিতে মুসলিম নেতা ও ইমামদের মধ্যে আবেদন করেছেন এ বছর যেন ঈদের কোন শপিং না করে অনাড়ম্বর ভাবে ঈদ উদযাপন করে ।পাশাপাশি সাহায্য করার আবেদন জানানো হয় অসহায় দঃস্থদের।
আবার বেঙ্গল ইমামদের পক্ষ থেকে আরো এক চিঠি লকডাউন না তোলার আবেদন জানানো হল।
এ যেন মুসলিম সমাজে আরেক সচেতন চিত্র। করোনার করাল গ্রাসে যখন গোটা বিশ্ব স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে, সেখানে তাদের ইদ উৎসবকেও আলাদা করে দেখার দরকার নেই। দেশের কথা তারা জানেন না, তবে রাজ্যের অন্যান্য সচেতন নাগরিকদের মত তারাও রমজান মাসের পর ইদ উৎসবে ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত। ঠিক এই কথাই উঠে এল মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া বাংলার ইমামদের চিঠিতে।

বাঙালির পয়লা বৈশাখ, অক্ষয় তৃতীয়া, ২৫ বৈশাখ সবই করোনার করাল থাবায় ঘরবন্দি জীবনে কেটেছে। এবার আসছে রমজান মাস শেষে মুসলিমদের ইদ উৎসব পালনের পালা। কেন্দ্রের ১৭ মে এবং রাজ্যের দাবিমতো ২১ মে কেটে যাচ্ছে তৃতীয় দফার লকডাউন। তারপরে কি ইদ পালন করতে পারবে মুসলিম সমাজ? প্রশ্নের ধোঁয়াশা কাটিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন বাংলার ইমামরা।

চিঠিতে মুখ্যমন্ত্রীকে তাঁরা অনুরোধ করেছেন যে, দয়া করে ইদে লকডাউন শিথিল করবেন না। আগামী ২৫ মে ইদ। এই বছর মুসলিম সম্প্রদায়ের সব থেকে বড় এই উৎসবে কেনাকাটাতেও বাধ সেঁধেছে লকডাউন। আর তারা সকলেই বুঝতে পারছেন, বিশ্বের দুর্দিন এত সহজে কাটবে না। তাই এই দুর্দিনে খুশির ইদেও আনন্দ করতে পারবে না সাধারণ মুসলিমরা। বিষণ্ণতা গ্রাস করেছে ব্যবসায়ীদেরও।
বিশেষ করে রাজ্যের একাধিক মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় সংক্রমণের চেহারা ভয়াবহ। এই পরিস্থিতিতে লকডাউন শিথিল করলে আরও সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়বে। তাতে কি পরিণতি হতে পারে তা জানেন ইমামরা। আর তাই মুখ্যমন্ত্রীকে ইদে লকডাউন শিথিল না করার অনুরোধ জানান তাঁরা।

I

ইমামরা বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার লকডাউন তুলে নিলেও রাজ্য সরকার যেন ৩০মে পর্যন্ত লকডাউন শিথিল না করে। বাংলার ইমামরা মুখ্যমন্ত্রীকে যে চিঠি পাঠিয়েছেন তাতে লেখা আছে, “পশ্চিমবঙ্গের স্বার্থে ৩০ মে পর্যন্ত লকডাউন শিথিল করবেন না। আমরা এত ত্যাগ করছি আবারও করবো। আগে মানুষের জীবন, তারপর উৎসব। মানুষ বাঁচলে তবেই উৎসব করতে পারবে। আপনি এ কথা কেন্দ্রকে বলুন, মুসলিম সমাজ আপনার পাশে আছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.