কাউন্সিলরের তৎপরতায় আমফান তান্ডবেও স্বাভাবিক জনজীবন ১৩২ নম্বর ওয়ার্ডে
পরিমল কর্মকার (কলকাতা) : আমফান তাণ্ডবে সারা রাজ্যের জনজীবন যখন বিপর্যস্ত, ঠিক তখনই বেহালায়ও ঝড়ের দাপটে মুহূর্তের মধ্যে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রার চিত্রটা পাল্টে গিয়েছে। ঝড় ঝঞ্ঝায় একের পর এক বড় বড় গাছপালা ভাঙ্গা থেকে শুরু করে কোনও কোনও বাড়ির টিনের চাল পর্যন্ত উড়ে গিয়ে বিধ্বস্ত করেছে বেহালাবাসীকে।
ল্যাম্পপোস্টে ও বিদ্যুতের তারে গাছপালা পড়ে দিনের পর দিন বিদ্যুৎহীন অবস্থায় ছিল বেহালা। বেহালার অধিকাংশ কাউন্সিলরদের নির্বিকার ভূমিকা নিয়ে যখন জল, আলোর দাবিতে বিক্ষোভে উত্তাল বেহালা। ঠিক সেই সময়ই ব্যতিক্রম বেহালার ১৩২ নম্বর ওয়ার্ড। এখানে বিক্ষোভের কোনও আঁচ তো পাওয়াই গেল না, উল্টে ওয়ার্ডের অধিকাংশ বাসিন্দারই বক্তব্য, “এই দুর্যোগে সঞ্চিতা দি সব সময় আমাদের পাশে রয়েছেন।”
বুধবার (২৭ মে) ১৩২ নম্বর ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা গেল, ভেঙ্গে পড়া গাছপালা কাটছাঁট করা থেকে শুরু করে স্তূপীকৃত গাছের ডালপালার জঞ্জাল সফাইয়ের কাজ চলছে। দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতে চললেও নাওয়া খাওয়া ভুলে কাউন্সিলর সঞ্চিতা মিত্র কাজের তদারকিতে ব্যস্ত।
ব্যস্ততার ফাঁকে এই প্রতিবেদককে (সাংবাদিককে) বললেন, ” ঝড়ে বহু গাছ ভেঙ্গে পড়েছে বিদ্যুতের পোস্টে, বিদ্যুতের তারে, যার ফলে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। টানা ৪/৫ দিন ধরে এলাকার সবাইকে নিয়ে কাজ করছি। যথা সময়েই বিদ্যুৎ সংযোগ এসেও গিয়েছে।” আপনার ওয়ার্ডে আপনার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়নি ? এমনই এক প্রশ্নে সঞ্চিতা মিত্র বলেন, “ওরা আমাকে এতটাই ভালোবাসে যে, আমার কোনও ভুল ত্রুটি হলেও, কাউন্সিলর হিসেবে আজ পর্যন্ত আমাকে কোনও দিন বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়নি।”