অয়ন বাংলা,নিউজ ডেস্ক:-অসমে এন আর সি নিয়ে ক্রমশ ক্ষোভ বসড়ছে। ১৯২৩ সালের জমির রেকর্ড থাকা সত্ত্বেও বিদেশি তকমা পেলেন অসমের বিএসএফ অফিসার মুজিবুর রহমান ও তাঁর স্ত্রী। মজিবুর রহমান কে গত ডিসেম্বর প্রকাশিত নাগরিকপঞ্জিতে বিদেশি হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে। বিদেশি শুনেই মাথার উপর যেন আকাশ ভেঙে পড়েছিল বিএসএফ অফিসার মজিবুর রহমানের। অসমের জোড়হাটের উদয়পুর-মিকিরপাট্টির বাসিন্দা বিএসএফ-এর সাব-ইন্সপেক্টর মজিবুর রহমানের। বর্তমানে তিনি পাঞ্জাবে কর্মরত। উল্লেখ্য, এর আগেও অসমের প্রাক্তন সেনা অফিসার শাহনওয়াজ কে বিদেশি ঘোষণা করা হয়েছিল। পরে তাকে আসামের ডিটেনশন ক্যাম্পেও আটকে রাখা হয়। যার ফলে দেশজুড়ে নিন্দা শুরু হয়েছিল। উপযুক্ত নথি প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে পরে তাকে সেখান থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।
পঞ্জাবে কর্মরত মুজিবুর রহমান গত সপ্তাহে কর্মক্ষেত্র থেকে অসমে ফিরে এই বিষয়টি জানতে পারেন। রহমান জানিয়েছেন যে তাঁর ও তাঁর স্ত্রীর ভারতীয় নাগরিকত্ব নিয়ে কোনও সন্দেহের অবকাশ নেই। তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশি বা পাকিস্তানি নই। আমরা ভারতীয়, অসমেই জন্ম। ১৯২৩-এ আমাদের জমির রেকর্ড আছে। কিন্তু বর্ডার পুলিশ আমাদের নাগরিকত্ব নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে।’
এই বিষয়ে গুয়াহাটি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন মুজিবুর রহমান। এতদিন নিজের নাগরিকত্ব নিয়ে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে না যাওয়ায় তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারির নির্দেশ জারি করেছে জোড়হাট ট্রাইবুনাল।