ইস্টবেঙ্গল মহিলা ফুটবল দলের ক্যাপ্টেন সুনীতা সরকার লকডাউনে বাড়ির উঠোনে প্রাকটিস ও মায়ের কাজে সহযোগিতা করছেন

Spread the love

বাড়িতে চট তৈরির যন্ত্রে নতুন চট তৈরি করছেন গোলকিপার বুলি সরকার।

দিলদার আলী,কুশমুন্ডি:- দঃদিনাজপুর জেলার প্রত্যান্ত গ্ৰামে দুই মেয়ে কুশমন্ডি গর্ব । লকডাউনে বাড়িতে মায়ের সঙ্গে উঠোনে ধান শুকোচ্ছেন বাড়ি রান্নার কাজে সহায‍্য করছেন ইস্টবেঙ্গল মহিলা ফুটবল দলের ক্যাপ্টেন সুনীতা সরকার। বাড়িতে চট তৈরির যন্ত্রে নতুন চট তৈরি করছেন গোলকিপার বুলি সরকার।এই বছর গোড়ার দিকে কুশমণ্ডি ব্লকের ছয় নং বেড়ইল গ্রাম পঞ্চায়েতের পুপুড়া গ্রামের সুনীতা সরকার ইস্টবেঙ্গল সিনিয়ার মহিলা দলের ক্যাপ্টেন নির্বাচিত হন। বেরইলপ গ্ৰাম ঞ্চায়েতের তেলিবাড়ি গ্রামের মেয়ে বুলি সরকার নির্বাচিত হন ইস্টবেঙ্গল মহিলা সিনিয়ার দলের গোলকিপার হিসাবে।

লকডাউনের মধ‍্য ১৮ই মার্চ তারিখে বাড়িতে ফিরে আসেন ওই দুই ফুটবলার সুনীতা সরকার ও বুলি সরকার। লকডাউন ঘোষণার আর ফিরে যেতে পারেননি কলকাতায়। সুনীতা বলেন, বাড়ির উঠোনে কিছুটা সময় প্র‌্যাকটিস করলেও সবসময় যাওয়া হচ্ছে না। কুশমণ্ডিতে করোনা আক্রান্ত ধরা পড়ার খবর পাওয়ার পর কয়েকদিন আর বাড়ি থেকে বেরোচ্ছি না। কীভাবে সময় কাটছে? বর্তমানে কলকাতার চারুচন্দ্র কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী সুনীতা বলেন, পড়াশোনার ফাঁকে বাড়িতে মায়ের কাজে সাহায্য করছি। আমাদের গ্রামের ধান সেদ্ধ করে শুকিয়ে তারপর ভাঙানোর কাজ বাবা-ভাই করলেও রোদে ধান শুকানোর কাজে মায়ের সঙ্গে হাত লাগাচ্ছি। ধান শুকোতে শুকোতেই চলছে ফুটবলের প্র‌্যাকটিস। সুনীতার বাবা ক্ষীরোদ সরকার জানান, মেয়ের ফুটবলটাই জীবন !ফুটবল প্যাকটিশ হয়ে না লকডাউনে জন‍্য। বৃষ্টিতে কয়েকদিন মাঠে প্র‌্যাকটিস হয়নি। তবে হোয়াটসঅ্যাপে কোচেদের সঙ্গে যোগাযোগ চলছে। এই প্রসঙ্গে বুলি সরকার গোল কিপার লকডাউনে বাড়ি ফিরে নিজের শরীর ফিঠ রাখার জন‍্য বাড়িতে প্র‍্যাকটিশ করছে আর হোয়াটসআপে কোচদের সঙ্গে যোগাযোগ চলছে ।আবার গ্ৰামের ছেলে মেয়েদের প্র‍্যাকটিশ শেখাচ্ছেন। লকডাউনে বাড়িতে বসে প‍্যাকটিস করছে কুশমন্ডি গর্ব দুই সোনার মেয়ে তাদের এই প্র‍্যাকটিশ কে সাধুবাদ জানন কুশমন্ডি পঞ্চায়েত সমেতি সভাপতি সুনন্দা বিশ্বাস ঐ দু মেয়ে কে সব রকমের সাহায্য আশ্বাস দিয়েছেন। এই প্রসঙ্গে ভুপেন্দ্রনাথ সরকার উচ্ছ বিদ‍্যালয় প্রধান শিক্ষক সত‍্যজিৎ সরকার বলেন আমার বিদ‍্যালয় দুই সোনার ছাত্রী বর্তমান লকডাউনের ফলে বাড়িতে গৃহবন্দি‌ ।নিজেদের মনের জেরে আজ ফুটবল জগতে জায়গা করে নিয়েছে ভবিষ্যতে আরো বড়ো খেলোয়াড় প্রত‍্যাশা দেখছেন।

সুনিতা বাবা ক্ষীরদ সরকার জানান লকডাউনে বাড়িতে প‍্যাকটিস করছেন গোল কিপার বুলি ও সুনিতা বলে জানান সুনীতা বাবা এছাড়া বাড়ির কাজে লকডাউনে আমাদের বিভিন্ন ভাবে সাহায‍্য করছেন বলে জানান।।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.