“ডিম” দেখুন তো আপনার খাওয়া উচিৎ কি না?::——— লিখেছেন বাংলার প্রখ্যাত চিকিৎসক ডাঃ ইয়ার আলী

Spread the love

“ডিম” দেখুন তো আপনার খাওয়া উচিৎ কি না?::———

অয়ন বাংলা ,স্বাস্থ্য জিজ্ঞাসা:- আপনি যদি আপনার স্বাস্থ্য নিয়ে সম্পূর্ণ সচেতন থাকেন অথবা আপনার কোন এলার্জি বা সেন্সিটিভিটি অথবা কোন সমস্যা( অবশ্যই স্বাস্থ্য-সমস্যা) থাকে, অথবা কোন অসুখ নিয়ে আপনি জীবন-যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন, অথবা আপনি যদি প্রতিরোধী বা প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা নিতে চান; তাহলে এটা জরুরী যে, যথাসম্ভব সকল Triggers এবং Instigators কে এড়িয়ে চলা৷ আপনার দেহ যাতে HEAL করতে পারে এবং সুস্বাস্থ্য ধরে রাখতে পারে, তারজন্য সমস্তরকম SUPPORT আপনার করা অত্যন্ত উচিৎ৷

কোন POISONS শরীরে প্রবেশ করালে বা করলে, আপনি ঐ POISON এ ইমিউন হচ্ছেন—এ কথাটা সত্য নয় বরং যতবেশী POISON আপনার দেহে প্রবেশ করবে, ততবেশী আপনি ও আপনার ইমিউনিটি দূর্বল হবে এবং আপনার সহজেই বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়৷

Health Professional , আপনাকে বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য, এডিটিভস, ফ্লেভারস প্রভৃতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল করতে পারবে— এটা কাঙ্খিত নয়! কারণ, এই বিষয়বস্তু সম্পর্কে গভীর আলোচনা বা গবেষণা হয় না৷ উপরন্তূ, Google এর দৌলতে নানা মুনির নানা মতে ইন্টারনেটে সত্য-মিথ্যার মিশ্র তথ্যে আসল তথ্যটাই হারিয়ে যায়৷

আজকে , আপনার জন্য অতীব সত্য, গুরুত্বপূর্ণ তথ্যবহুল আলোচনা “ডিম” নিয়ে করব৷ দেখুন আপনার ডিম খাওয়া উচিৎ হবে কিনা?

মানবজাতি বহু সহস্র বছর ধরে “ডিম” কে খেয়ে আসছে নানাভাবে, নানাপদে৷ এই পৃথিবীর বুকে একটা সময় ছিল যখন ডিম ছিল অসাধারণ জীবন-দায়ী ও উপাদেয় খাদ্য৷ কিন্তূ, বিংশ শতাব্দীর দোরগোড়ায় এসে, ডিমের এই অসাধারণ গুণ— সম্পূর্ণ বিপরীত মুখী হয়ে অসাধারণভাবে বে-গুণ হয়ে গেল যখন Auto-immune , viral, bacterial, এবং cancer অসুখগুলি এপিডেমিক হতে শুরু করল!!!

আমরা প্রায়ই শুনে থাকি , ডিম হল পারফেক্ট ফুড৷ ডিম খাওয়া আমাদের সংস্কৃতি ও সমাজে সমূলে প্রোথিত৷ কিন্তূ, সমস্যটা হল — বর্তমানকালের স্বাস্থ্য-অবনতি, ও বিভিন্ন অসুখ-বিসুখের বাড়বাড়ন্ত;যেটা অতীতে এমন ছিলই না৷ বর্তমানে “ডিম” কিন্তু আমাদের স্বপক্ষে আর কাজ করছেনা ৷ কারণ, বিভিন্ন রোগবালা সৃষ্টিকারী জীবাণুগুলির জন্য “ডিম” হল পারফেক্ট ফুড!

সাধারনত: একজন ব্যাক্তি বছরে ৩৫০ টা করে গড়ে ডিম খায়৷ যদি আপনি কোন অসুখ নিয়ে সংগ্রাম করে থাকেন যেমন— Lyme ds, Lupus, chronic fatigue syndrome, Migraine, fibromyelgia,Breast cancer, reproductive organ tumor, cyst or cancer, Alzheimers ds, Dementia, brain tumor or cancer, EBV/mononucleosis, Thyroid disorders, IBD, IBS, Raynaud’s syndrome, Insomnia, Depression, anxiety, GB stone, Liver diseases, endrometriosis, Arthritis of any type, Gout, UTI, vertigo, tennitus, bacterial vaginosis, tendonitis, HPV, SIBO, adenoma প্রভৃতি; তাহলে ডিমকে খাদ্যতালিকা থেকে বিতাড়িত করুন৷ আপনি আপনার বডিকে HEALING এ সাপোর্ট করুন৷ অবশ্যই, আপনি অপেক্ষাকৃত সুস্থতা বোধ করবেন৷ ( প্রসঙ্গত: আরও এরকম অনেক ফুড আছে, যেগুলি বিভিন্ন অসুখকে ত্বরান্বিত করে৷ এ সকল ফুড গুলি পরে জানবেন৷)

“ডিম” এর ব্যাপারে সবচেয়ে বড় বিষয় হল— “ডিম” , ক্যান্সার, সিস্ট, ফাইব্রয়েড, টিউমর, এবং নডিউলের জন্য প্রাইম ফুড৷ বিভিন্ন অসুখের বিরুদ্ধে আপনার দেহকে , আপনার ইমিউনিটিকে শক্তিশালী করে তুলতে ( বিভিন্ন সঠিক ও সত্য চিকিৎসা বা ঔষধের পাশাপাশি) আরো কিছু কিছু খাদ্যের মত “ডিম” কে আপনার খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিন৷

“ডিম” — এলার্জি এবং প্রদাহও তৈরী করে৷ ডিম থেকে বিভিন্ন ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ঈষ্ট, মোল্ড, ক্যান্ডিডা, ফাংগাস পুষ্টি গ্রহণ করে; দেহের মধ্যে বিদ্যমান ঐ সকল জীবাণুগুলি সংখ্যাধিক্যতা তৈরী করে ও শক্তিশালী অবস্থায় রূপান্তরিত হয়৷
যে সমস্ত রোগীদের candida or Mycotoxin আছে বলে diagnose করা হয়, তাদেরকে ডিম খাওয়ার জন্য উৎসাহিত করা হয় এই ধারণার বশবর্তী হয়ে যে, ডিমের প্রোটিন ঐ candida কে অভুক্ত রাখে! যদিও বাস্তবটা উল্টো!!

আমি জানি, “ডিম”কত জনপ্রিয় খাদ্য৷ “ডিম” কে উত্তম খাদ্য হিসাবে প্রোমোটও করা হয়৷ উপরন্তূ, ডিম খুবই সুস্বাদু খাদ্যও৷ কিন্তূ, সত্যি সত্যিই যদি “ডিম” বর্তমানের প্রেক্ষাপটে উপযুক্ত খাবার হয় — তাহলে, আমিই একে বেশী প্রোমোট করব৷ ( পোষ্টটি ডিম-ব্যাবসিকদের ক্ষতির জন্য নয় বরং সঠিকভাবে কার জন্য কতটা ডিম খাওয়া উত্তম— তারজন্য৷)

কেউ যদি ডিম খাওয়া থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকেন, তবে ডিমের বিভিন্ন ডাইজেষ্টেড পারটিকল গুলি লিভার কোষ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে স ম্পূর্ণরুপে দেহ থেকে নির্গমন হয়ে যায়৷ যতদিন লিভারে ডিমজাত দ্রব্য বা পারটিকল থাকবে, ততদিন লিভারে বিরাজমান virus, bacteria, fungus পুষ্টি পেতে থাকবে৷ তারপর ক্রমশ: প্রিয় খাদ্য ডিমের অভাবে জীবাণুগুলি অনাহারে বিনষ্ট হয়ে যাবে৷

নিম্নে বর্ণিত লক্ষণগুলির কোনও টি আপনার থাকলে, “ডিম” কে ‘না’ বলুন———
হার্ট প্যালপিটেশন, মাথাধরা/মাথাব্যাথা,স্মৃতিজনিত সমস্যা, সিস্ট, ঘনঘন সর্দি-কাশি, সাদাস্রাব, বাত-ব্যাথা, মাংশপেশীর স্প্যাজম, ট্যুইচ, এডিমা বা পা ফোলা/মুখফোলা, এলার্জি, ওজনবৃদ্ধি, হাইপো/হাইপার থাইরয়েড, মুখ শুকিয়ে যাওয়া, যোনীদ্বারে চুলকানী বা জ্বালা, চুল পড়া, কন্স্টিপেশন, হট ফ্লাশ বা হঠাৎ করে গোটা শরীর হিট হয়ে যাওয়া, যৌন দূর্বলতা, মেনোপজ সিম্পটমস, PMS সিম্পটমস পেট ফাপা প্রভৃতি৷

পোষ্টটি আপনাদের উপকারে এলে, এত পরিশ্রম স্বার্থক মনে করব৷ আল্লাহর কাছে এই পাপী বান্দার জন্য ক্ষমা প্রার্থনার জন্য দোয়াপ্রার্থী!
বেশী বেশী শেয়ার করে, অন্যের উপকার করুন৷

written by Dr. Year Ali
www.dryearali.com

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.