ভাবতা ঈদগাহ এক ঐক্যের ও সম্প্রীতির পিঠস্থান!
ভাবতা নামটা হয়তো অনেকেই শুনেছেন! এখানে ভাবতা আজিজিয়া হাই মাদ্রাসা(উঃমাঃ) থেকে যেমন প্রতিবছর মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিকে ছেলে মেয়েরা বোর্ডে স্থান দখল করে তেমনি সর্বজাতির বিশেষকরে হিন্দু সম্প্রদায়ের সাথেও সম্প্রীতির সাথে সকলেই শান্তিপূর্ণ জীবন যাপনও করে৷ মুসলিমদের বৃহৎ সমাজ ব্যবস্থা এখানে ব্রিটিষ আমল থেকেই বসবাস করে আসছে৷ ব্রিটিষ আমলের জমিদারী ঐতিহ্যের সাক্ষীর ইতিহাস যেমন এখানে আছে,তেমনি পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও ভাতৃত্বের পরিবেশও আছে৷
প্রতিবার প্রায় ১৫-২০ হাজার বাসিন্দার ঐক্যবদ্ধ ঈদ পালনের ঐতিহ্যও এখানে বিদ্যমান আছে৷
ঈদময়দানের বাইরে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকে হিন্দু সম্প্রদায়ের দুঃস্থ, গরীব, বিধবা, এতিম লোকেরা৷ যে যা পারে, তাদেরকে সাহায্য করে ,দান করে তাদের ঝুলি ভরে দেওয়ার রেওয়াজও আছে৷ ভাবতা বড় মসজিদের গচ্ছিত ফিতরার টাকা বা খাদ্য হিন্দু মুসলিম যে কোন সম্প্রদায়ের গরীব মিসকীনদের ঝুলি ভরে প্রদান করা হয়৷ মুসলিমদের বিশ্বাস , এই ফিতরা বা যাকাতের সম্পদে সকল গরীব বা দুঃস্থদের অধিকার আছে , সে যে কোন ধর্মেরই হোক না কেন৷ এই মানবীয় গুণ অন্যকোন ধর্মে আছে কিনা আমার জানা নাই৷
হিন্দু ধর্মের দুঃস্থ বা গরীবদের আমরা কক্ষনই “আল্লাহু আকবার” বলতে বলিনা ৷ জোর করে মানুষের বিশ্বাস পরিবর্তনের বা জয় শ্রী রামের ভক্তদের শিক্ষা কে দেবে? তারা নিরেট মূর্খ৷ এই সকল কুমানসিকতা বা অমানবিক গুণের উর্দ্ধে এই ভাবতার মুসলিম সম্প্রদায়৷ জাতির গঠণেও এই ভাবতার বহু প্রতিভাধর ব্যক্তিত্ব আছেন৷
মুসলিম ভায়েরা কোলাকুলি আর সহমর্মিতা, ভালবাসা আর ভাতৃত্বের পরিবেশে উদযাপন করে এই ঈদ উৎসব৷ একজন ভাল মানবতাপূর্ণ মানুষ না হলে, সে ভাল মুসলিম কক্ষনই হতে পারবেনা— এই শিক্ষাই আজ আমাদের দেওয়া হল৷ এই শিক্ষাটাই আজ ভারতের বুকে সকলেরই খুবই প্রয়োজন৷
সকলেই সুস্থ ও সুচারুভাবে ঈদ উদযাপন করতঃ জীবনকে সমুন্নত ও সাফল্যমন্ডিত করুন৷