নিজস্ব সংবাদদাতা,অয়ন বাংলা:-বঙ্গ বিজেপি যেভাবে লম্ফ ঝম্প করছে 23টা আসন নিব বলছে আর এখানেই অমিতজির সভা ফ্লপ ।
বাংলায় ২৩টি আসন জয়ের লক্ষ্য নিয়েছে ঝাঁপিয়েছে বিজেপি। তার মধ্যে বনগাঁ আসনটি রয়েছে বলেই বিজেপি সূত্রে খবর। কিন্তু সেই বনগাঁতেই পরপর যোগী-শাহের দুটি সভায় মাঠ থেকে গেল খালি।আর যা চিন্তা বাড়িয়েছে বিজেপির বঙ্গ ব্রিগেডের। যোগীর সভায় উপস্থিত ছিলেন না খোদ দলের প্রার্থী।তারপরেই তাঁকে নিয়ে জল্পনা শুরু হয়ে যায় দলের অন্দরেই।ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামেন বিজেপির শীর্ষ আধিকারিকরা। আর বুধবার সেই শান্তনু ঠাকুরের হয়েই প্রচারে এসেছিলেন খোদ বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ।
কিন্তু তাতেও মাঠমুখী হলেন না মানুষ। ঠা ঠা রোদে খাঁ খাঁ করছে মাঠ। মেরেকেটে তিনশো থেকে চারশো লোক। হ্যাঁ, কল্যাণীর মাঠে অমিত যখন ভাষণ দিচ্ছিলেন, তখন গোটা মাঠই কার্যত খালি। এর আগে ফেসবুক লাইভে সংবাদ মাধ্যমকে কাঠগড়ায় তুলে বনগাঁর বিজেপি প্রার্থী দাবি করেছিলেন, অমিতের সভায় ৪ লক্ষ লোক আনবেন।৪ লক্ষ লোক তো দূর, অমিত শাহের সভায় এসে গিয়েছেন, তখনও মাঠ ফাঁকাই রয়ে গিয়েছে।হাতে গোনা কয়েকটা লোক দাঁড়িয়ে। মেরেকেটে চারশো। ফাঁকা মাঠের কথা জানতে পেরে খানিকটা দেরি করে সভা শুরু করলেও তাতেও মাঠ ভরাতে পারেনি বিজেপি নেতৃত্ব।অমিত শাহকে দিয়ে সভা করিয়ে মাঠ ভরাতে না পারায় মুখ পুড়েছে বিজেপির বঙ্গ নেতাদের।ফাঁকা মাঠ দেখে বিরোধীরা কটাক্ষ, মাঠে স্থানীয় ক্লাবের ক্রিকেট খেলা হলেও এর চেয়ে বেশি দর্শক হয়।যদিও তৃণমূলের সন্ত্রাসকেই বিষয়টির জন্য দায়ী করেছে বিজেপি। কিন্তু দলের অন্দরেই গুঞ্জন উঠেছে, দলের শীর্ষনেতাদের সামনেই যদি বাংলায় বিজেপির কঙ্কালসার চেহারা বেরিয়ে আসে তাহলে সর্বভারতীয় স্তরে তার প্রভাব পড়বেই।স্বভাবতই বঙ্গ বিজেপির নেতাদের কপালে এখন চিন্তার ভাঁজ।