নৈহাটি ঐকতান মঞ্চে নাট্যোৎসবের উদ্বোধন করলেন বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব ও শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু
ফারুক আহমেদ .কোলকাতা :- নৈহাটি ঐকতান মঞ্চে নাট্যোৎসবের উদ্বোধন করলেন স্বনামধন্য সাহিত্য সংস্কৃতির জগতের কিংবদন্তি বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব ও পশ্চিমবঙ্গে উচ্চ শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।
নৈহাটির নাট্য সমন্বয়ের উদ্যোগে রবিবার থেকে শুরু হল ঐকতান মঞ্চে ৯ দিনের নাট্যোৎসব। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আহ্বায়ক, নাট্যব্যক্তিত্ব তথা রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীজপুর বিধানসভার বিধায়ক সুবোধ অধিকারী, প্রধান অতিথি নৈহাটি পৌরসভার পৌরপ্রধান অশোক চট্টোপাধ্যায়, সভাপতি দেবাশিস সরকার, সম্পাদক সুনীত ভট্টাচার্য প্রমুখ। নাট্যোৎসবের মহরৎ শুরু হল নৈহাটি ব্রাত্যজনের ‘দাদার কীর্তি’ নাটক দিয়ে।
নৈহাটি ঐকতান মঞ্চে নাট্যোৎসবের উদ্বোধন করার পর বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব ও বাংলার স্কুল শিক্ষা ও উচ্চ দফতরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী ব্রাত্য বসু মূল্যবান বক্তব্য রাখেন। হল ভর্তি দর্শকরা করতালি দিয়ে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়েছেন বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব ও শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে। মুগ্ধ হয়েছেন সবাই ব্রাত্য বসুর দাগ কেটে যাওয়া বক্তব্য শুনে। এদিন অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট কয়েকজন নাট্যব্যক্তিত্বকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয় নৈহাটির নাট্য সমন্বয়ের উদ্যোগে। ৩১ জুলাই সোমবার শেষ হবে এই নাট্যোৎসব।
‘ধূমকেতু’ পত্রিকায় ‘আনন্দময়ীর আগমন’ কবিতাটি প্রকাশের জন্য হাজতবাস হয় বিদ্রোহী কবি কাজি নজরুল ইসলাম-এর। ১৯২৩ সাল পরাধীন ভারত কাজি নজরুল ইসলামকে আলিপুর সেন্ট্রাল জেল থেকে হুগলি জেলে নিয়ে যাওয়ার পথে নামানো হয়েছিল নৈহাটি স্টেশনে। সেইদিন কবির গায়ে ছিল কয়েদির পোশাক, কোমরে ছিল দড়ি বাঁধা। সর্বপ্রথম ভারতে পূর্ণ স্বাধীনতা চেয়েছিকেন বিদ্রোহী কবি কাজি নজরুল ইসলামকে দেখতে সেইদিন নৈহাটি স্টেশনে অনেক মানুষ এসেছিলেন এবং চোখের জলে ভেসে গিয়েছিলেন।
বাংলার ঐতিহ্যবাহী জনপদ হচ্ছে নৈহাটি। সাহিত্য-সংস্কৃতির-পীঠস্থান হিসেবে নৈহাটি রীতিমতো রত্নগর্ভা।
শিল্প-সংস্কৃতির প্রসার ঘটাতে এই শহরের অবদান অনস্বীকার্য। নৈহাটিতে সাহিত্য সংস্কৃতির চর্চার কেন্দ্র হিসেবে কাজ চলছে অবিরাম। গান-বাজনা, নাটক, সিনেমা নিয়ে আগ্রহ আছে এখাবকার মানুষের। ক্যামেরা-আলো-শব্দ-রঙ আর সুরে এখনও প্রাণবন্ত নৈহাটি পৌরসভার পরিমণ্ডল।
রবিবার নৈহাটি ঐকতান মঞ্চে নাটক দেখে দর্শকেরা বেশ আনন্দে মুখরিত হয়েছেন। নৈহাটিতে ব্রাত্য বসুর তৈরি ব্রাত্যজনের ‘দাদার কীর্তি’ নাটক দেখে দর্শকেরা করতালি দিয়ে নাট্যোউৎসবের শুরু আয়াতকে স্বাগত জানিয়েছেন। নাটকের টানে আজও মানুষ আসেন প্রেক্ষাগৃহ পূর্ণ করেতে। নৈহাটি নাট্যোউৎসবে নাটক দেখতে এলেই তা চোখে পড়বে নাটকপ্রিয় মানুষদের।