নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এখন কিছুই বলা যায় না, এমনই মন্তব্য করেছেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি বি এন শ্রীকৃষ্ণ। সেই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করলেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু। প্রাক্তন বিচারপতিকে কটাক্ষ করে রিজিজু বলেছেন, এই ধরনের লোকজন কেবলমাত্র প্রধানমন্ত্রীরই নিন্দা করে। অথচ অন্যান্য সরকারের সমালোচনা করতে সাহসও পায় না। রিজিজুর মতে, সারাজীবন যে প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন, তারই সম্মানহানি করছেন প্রাক্তন বিচারপতি।
কিছুদিন আগে একটি সংবাদপত্রে সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতির একটি সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়। সেখানে শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন, ভারতবর্ষের সাম্প্রতিক অবস্থা খুবই খারাপ। তিনি বলেছেন, “আমি যদি আজ জনসমক্ষে দাঁড়িয়ে বলি প্রধানমন্ত্রীকে আমার ভাল লাগে না, পরের দিনই আমার বাড়িতে তল্লাশি চালানো হবে। কোনও কারণ না জানিয়েই হয়তো আমাকে জেলে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। দেশের নাগরিক হিসাবে এই পরিস্থিতি নিয়ে আমরা যথেষ্ট উদ্বিগ্ন।”
এই বক্তব্য প্রকাশিত হওয়ার পরেই টুইট করে তীব্র বিরোধিতা করেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেন রিজিজু। শ্রীকৃষ্ণের বক্তব্যের একটি অংশ তুলে ধরে রিজিজু লিখেছেন, “এই ধরনের মানুষ সবসময় মুক্তভাবে নিজেদের মত প্রকাশ করেন। এমনকী জনতার নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীরও নিন্দা করেন। তাঁরা এখন বাকস্বাধীনতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন? কিন্তু কংগ্রেসের তৈরি করা জরুরি অবস্থা সম্পর্কে একটা কথাও বলেন না তাঁরা। কিছু আঞ্চলিক দলের মুখ্যমন্ত্রীদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতেও তাঁদের ভয় করে।”
তবে কারও নাম নিয়ে আক্রমণ করেননি রিজিজু। তিনি বলেছেন, প্রাক্তন বিচারপতি সত্যিই এই মন্তব্য করেছেন কিনা, সেটা জানা নেই। রিজিজুর মতে, “যদি সত্যিই এই কথা বলে থাকেন প্রাক্তন বিচারপতি, তাহলে সারাজীবন যে প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন, তাকেই অসম্মান করছেন তিনি।” সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি আরও জানিয়েছেন, সরকারি আধিকারিকরা আদৌ বাকস্বাধীনতার অধিকার পান কিনা, সেই প্রসঙ্গেই ওই মন্তব্য করেছেন তিনি। শ্রীকৃষ্ণের মতে, “যদি ভদ্রভাবে কেউ সরকারের সমালোচনা করে, তাহলে তার চাকরি নিয়ে কোনও জটিলতা তৈরি হওয়া উচিত নয়। কিন্তু দেশের সরকার যেভাবে সমালোচনার জবাব দেয়, সেটা সত্যিই খুব চিন্তার বিষয়।”
সৌজন্য :- সংবাদ প্রতিদিন