*স্বরাজ ইন্ডিয়া – জয় কিষাণ আন্দোলন*
*প্রেস বিজ্ঞপ্তি*
*১লা এপ্রিল ২০২০*
অয়ন বাংলা নিউজ ডেস্ক:- *ঝাড়গ্রাম জেলার ৮ টি ব্লকের সব্জী কৃষকদের ফসল এখনি সরকার কে কিনতে হবে: স্বরাজ ইন্ডিয়ার কৃষক সংগঠন জয় কিষাণ আন্দোলন*
*সব্জী কৃষকদের ফসল মাঠে পচছে; গাড়ি বন্ধ, হাট বন্ধ; আজ সরকার পাশে না দাঁড়ালে ওদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার: অভীক সাহা, জাতীয় সাধারন সম্পাদক, স্বরাজ ইন্ডিয়া*
*করনার জন্য ক্রয়-বিক্রয় ও সাপ্লাই-চেন ভেঙ্গে পরেছে – শহরে সব্জির দাম আগুন – রাজ্যের খাদ্য সঙ্কটের কথা মাথায় রেখে সরকার কৃষকদের পাশে দাঁড়াক: অশোকে মাহাত, জেলা সভাপতি, জয় কিষাণ আন্দোলন*
*কলকাতা/ঝাড়গ্রাম, ১লা এপ্রিল ২০২০:* করোনভাইরাস মহামারীর কারনে টানা লকডাউনে স্তব্ধ হয়ে পড়া জনজীবন এবং পরিবহন ব্যবস্থার ফলে ঝাড়গ্রামের ৮ টা ব্লকের কৃষকরা তাদের সব্জী ফসল কৃষি-বাজারগুলোতে নিয়ে যেতে না পেরে বড় সংকটের মুখোমুখি হয়েছেন; পচনশীল সব্জী ফসল কৃষকের খামারে পড়ে নষ্ট হচ্ছে। ফলস্বরূপ, তারা এই কঠিন সময়ে বিশাল আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। তাদের জন্য অবিলম্বে প্রশাসনের তরফ থেকে জরুরী ভিত্তিতে কিছু করা দরকার।
আজ স্বরাজ ইন্ডিয়া ও তাদের কৃষক শাখা জয় কিষান আন্দোলন, ঝাড়গ্রাম ইউনিটের পক্ষ থেকে ইমেল মাধ্যমে ঝাড়গ্রামের জেলা শাসকের কাছে জেলার সব্জী ফলানো কৃষকদের বর্তমান বিপর্যয়কর পরিস্থিতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল করা হয় এবং সুনির্দিষ্ট প্রতিকারের আশু পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ করা হয়। ( জেলা শাসক কে পাঠানো চিঠি সংলগ্ন)
সংগঠনের পক্ষ থেকে অশোক মাহাতা জেলা শাসককে জানান বর্তমান লকডাউনের পরিস্থিতিতে পরিবহনের অপ্রতুলতার কারনে কৃষকরা, যারা বিক্রীর জন্য সব্জী ফসল ফলান, তাদের ফসল দূরে অবস্থিত কৃষি-বাজারগুলোতে নিয়ে যেতে পারছেনা এবং এই পরিস্থিতিতে কৃষিবাজারগুলোও ঠিকভাবে কার্যকরী নয়। পচনশীল সব্জী ফসল কৃষকের খামারে পড়ে নষ্ট হচ্ছে। ফলস্বরূপ, তারা এই কঠিন সময়ে খুব বড় আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে যা তাদের আগামীদিনে বেঁচে থাকার সমস্যায় পরিনত হতে পারে। ঝাড়গ্রাম জেলার ৮ টি ব্লকের একই অবস্থা। এই পরিস্থিতিতে,এই বিপর্যয়কর অবস্থা থেকে ঐ কৃষকদের রক্ষা করার জন্য জেলা শাসককে নিন্মলিখিত সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপগুলো নেওয়ার আবেদন করেন:
১। অবিলম্বে রাজ্য সরকারী ব্যবস্থাপনায় খামার থেকে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে পচনশীল সবজি ফসলের ক্রয় শুরু করতে হবে
২। ঝাড়গ্রাম জেলার ব্লকগুলির সমস্ত গ্রামের সকল কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি এই ক্রয় করতে হবে
৩। সরকারী তথ্যভান্ডার এবং ওয়েবসাইট অনুযায়ী বিভিন্ন সবজির পাইকারি দামের সাথে সমতা রেখে জেলা শাসকের দ্বারা নির্ধারিত মূল্যে এই ক্রয় করতে হবে
৪। এই ক্রয়ের জন্য সরাসরি কৃষকদের ব্যাংকে অর্থ স্থানান্তরের মাধ্যমে দাম মিটিয়ে দিতে হবে এবং এই প্রক্রিয়ার জন্য কৃষকদের আধার কার্ড, জমির পরচা ইত্যাদির মতো কোনও নথিপত্রের দাবী করা চলবে না
সংগঠনের পক্ষে থেকে এক্ষেত্রে জেলা শাসককে প্রয়োজনীয় সবরকম সহায়তার আশ্বাস দেওয়া হয়।
স্বরাজ ইন্ডিয়া ও জয় কিষাণ আন্দোলন আশা রাখে যে জেলা শাসক অবিলম্বে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন যাতে ঝাড়গ্রাম জেলার কৃষকরা এই দুঃসময়ে তাঁদের জীবন জীবিকা রক্ষা করতে পারে।