অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন সংসদে বললেন ” ধার করে চলছে কেন্দ্রের সরকার’,

Spread the love

নিউজ ডেস্ক:-  জিডিপি এখন তলানিতে .দিন দিন বেকার বেড়ে চলেছে .প্রতিদিনই চাকুরী চ্যুত হচ্ছে হাজার হাজার মানুষ  এই রকম পরিস্থিতিতে  মোদী সরকারের সংসার খরচের সবটাই চলছে ধার করে। আজ অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন নিজেই লোকসভায় দাঁড়িয়ে স্বীকার করেছেন, লকডাউনের ধাক্কায় এমনিতেই এপ্রিল থেকে জুনে কেন্দ্রের আয় প্রায় ২৯.৫ শতাংশ কমে গিয়েছে। তার উপরে কেন্দ্র ১০০ টাকা কর বাবদ আয় করলে রাজ্যগুলিকে তার ভাগ ও অনুদান দিতে ১০৭ টাকা বেরিয়ে যাচ্ছে। ফলে কেন্দ্রের খরচ ধার করেই চলছে।

শুক্রবার অর্থ মন্ত্রকের প্রকাশিত তথ্য বলছে, কেন্দ্রের মোট দেনার বোঝা মার্চের শেষে ৯৪.৬ লক্ষ কোটি টাকা ছিল। তা জুনের শেষে ১০১.৩ লক্ষ কোটি টাকায় এসে পৌঁছেছে।

রাজ্যের প্রাপ্য জিএসটি ক্ষতিপূরণ কেন্দ্র না-মেটানোয় অর্থমন্ত্রীর দিকে আঙুল উঠেছিল। নির্মলা করোনা অতিমারিকে ‘দৈব দুর্বিপাক’ বা ভগবানের মার তকমা দিয়ে অসহায়তার কথা জানিয়েছিলেন। বিরোধীরা তো বটেই, নির্মলার স্বামী পরকাল প্রভাকরও এ নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন। বলেছিলেন, আসল দৈবদুর্বিপাক হল সুসংহত চিন্তাভাবনার অভাব। আজ বাজেট-অতিরিক্ত খরচের অনুমোদন নিয়ে বিতর্কে নির্মলা বলেন, “ল্যাটিনে আদালতে ‘ফোর্স মেজিওর’ বললে সমস্যা নেই। আমি সংসারী মহিলা, পাড়ার আন্টির মতো। তাই ভগবানের মার বলায় আমাকে ব্যঙ্গ করা হচ্ছে। এটা দৈব দুর্বিপাক ছাড়া কী?”

নির্মলা আজ ফের জানিয়েছেন, জিএসটি সেস আদায়ের তহবিলে টাকা নেই। অ্যাটর্নি জেনারেল বলে দিয়েছেন, সরকারি কোষাগার থেকে জিএসটি ক্ষতিপূরণ মেটানো যাবে না। তাই তিনি রাজ্যকে ধার নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। জিএসটি পরিষদেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। কিন্তু রাজ্যকে অর্থসাহায্য করা হচ্ছে না, এই অভিযোগ ভুল। কেন্দ্রের আয় এপ্রিল-জুনে ২৯.৫% কমলেও রাজ্যকে দেওয়া করের ভাগ ১১% কমেছে।

সৌজন্য :- আনন্দ বাজার পত্রিকা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.