ওয়েবডেস্ক:- ,রাজকোষ খালি তাই মে মাসের বেতন অনিশ্চিত পাশের রাজ্য আসামে ।গোটা দেশ এখন চরম সংকটে। আয়ের চেয়ে এখন অস্বাভাবিক ব্যায় বেড়েছে। খরচ যোগাতে হিমসিম।
করোনার জেরে এবার রাজ্য সরকারি কর্মীদেরও বেতনে কোপ পড়তে পারে। তবে তা এ রাজ্যে নয়, পড়শি রাজ্য অসমে। সোমবার অসমের অর্থমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানিয়ে দিয়েছেন, যদি বাইরে থেকে কোনও রকমের আর্থিক সাহায্য না পাওয়া যায় তবে রাজ্য সরকার কর্মচারীদের মে মাসের বেতন দিতে পারবে না। এদিন এক সাংবাদিক বৈঠকে তিনি জানান, মে মাসের প্রথমেই এপ্রিলের বেতন কর্মচারীদের সময়মতো দিয়ে দেবে সরকার। কিন্তু এরপর যদি কোনও ব্যবস্থা না হয় তবে মে মাসের বেতন তারা দিতে পারবেন না।
এদিন হিমন্ত বিশ্বশর্মা জানিয়েছেন, ‘মে মাসটা আমাদের জন্য খুবই সমস্যা। আমি জানি না রাজকোষ কীভাবে চলবে। তবুও আমরা মে মাসের ৭ তারিখ এপ্রিল মাসের বেতন দিয়ে দিতে পারব।’ কিন্তু জুন মাসে যদি কোনও বাইরে থেকে সাহায্য না মেলে তবে মে মাসের বেতন দেওয়ার মতো অবস্থায় সরকার নেই বলে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। বিশ্বশর্মার কথায়, ‘যদি এই সময়ের মধ্যে বাইরে থেকে অর্থসাহায্য না পাই তবে বেতন দেওয়াই বড় সমস্যার বিষয় হয়ে যাবে।’
পণ্য সামগ্রীর উপর বেশি জিএসটি লাগু করে ঘাটতি মেটানোর প্রস্তাবও এদিনের বৈঠকে ওঠে। সেই প্রসঙ্গে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী বলেন, এই বিষয়ে চূরান্ত সিদ্ধান্ত জিএসটি কাউন্সিল নেবে। তবে রাজ্য হিসেবে পেট্রোল, জিজেল ও মদ ছাড়া আর কোনও দ্রব্যে যে রাজ্যের জিএসটি লাগু হবে না সেটাও মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি। সাধারণ মানুষ যাতে প্রভাবিত না হন সেভাবেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান বিশ্বশর্মা।
সত্যিই আজ গোটা দেশে করোনা ভাঁড়ার শূন্য দিয়েছে।