*বাংলার উন্নয়নের স্বার্থে অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা নৈতিক সমর্থন জানালো রাজভোবনের সামনের আন্দোলনকে*
নিজস্ব সংবাদদাতা,কোলকাতা:- অখিল ভারত হিন্দু মহাসভার রাজ্য সভাপতি চন্দ্রচূড় গোস্বামীর নেতৃত্বে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের একশো দিনের কাজের টাকার দাবীকে নৈতিক ভাবে সমর্থন করলো অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা বিক্ষোভ সমাবেশ প্রাঙ্গণের ব্যানার হাতে উপস্থিত হয়ে। তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিজেপির রাজনৈতিক টানাপোড়েনে অসহায় মেহনতি বুভুক্ষু মানুষগুলোকে কেন দাবা খেলার বোরে হিসেবে ব্যবহার হতে হবে এটাই মূলত ভারতের অন্যতম প্রাচীন রাজনৈতিক দল অখিল ভারত হিন্দু মহাসভার প্রশ্ন। চন্দ্রচূড় গোস্বামী আরো জানান শুধু একশো দিনের শ্রমিকদের টাকা নয় বাংলার অসহায় মেহনতি মানুষগুলোকে NRC CAA এর নামে যেভাবে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে তারও তীব্র বিরোধিতা করছে অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা রাজনৈতিক দল । তাঁর দাবী মতুয়া সম্প্রদায় সহ সমস্ত সনাতনী মানুষদের নিঃশর্ত নাগরিকত্ব দিতে হবে।
চন্দ্রচূড় বাবু আরো বলেন দিল্লীতে বাংলার জন প্রতিনিধিদের উপর পুলিশের বর্বরোচিত আচরণও অত্যন্ত নিন্দনীয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিভিন্ন মিউজিয়াম আর স্তম্ভ নির্মাণে অর্থ খরচ করতে পারেন কিন্তু বাংলার ভুখাপেট অসহায় মানুষ গুলো কাজ করেও কেন তাদের “হক এর” টাকা পাওয়া থেকে বঞ্চিত থাকবে তা অবশ্যই দুর্ভাগ্যজনক। নারদা ও স্বারদা কাণ্ডের নায়ক শুভেন্দু অধিকারীর ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী বা ওয়াশিং মেশিন পার্টিতো কোনো ত্রুটি খুঁজে পান না, অথচ দুর্নীতির প্রশ্ন তুলে রাজনৈতিক কারণে ওই অসহায় গরীব মানুষ গুলোর প্রাপ্য টাকা আটকে রাখা অত্যন্ত অন্যায় কাজ। আগামী আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্যপালের পক্ষ থেকে কোনো স্বদর্থক উত্তর না পেলে অখিল ভারত হিন্দু মহাসভা আগামী দিনে আরো অধিক সংখ্যক সদস্যদের নিয়ে, প্রয়োজনে অন্য রাজনৈতিক দল বা সংগঠন যারা বাংলার উন্নয়নের পক্ষে কাজ করবে, তাদের সাথে মঞ্চ শেয়ার করতেও অখিল ভারত হিন্দু মহাসভার আপত্তি নেই বলে জানালেন চন্দ্রচূড় বাবু। আজ অখিল ভারত হিন্দু মহাসভার পক্ষ থেকে রাজ্যপাল ভবনে ডেপুটেশন জমা দিতে গিয়েছিলেন সভাপতি চন্দ্রচূড় গোস্বামী, অনামিকা দে, শ্রাবণী মুখার্জী, জিতেন গোস্বামী, রুপম মল্লিক, দেবযানী চক্রবর্তী সহ আরো অনেক শীর্ষ নেতৃত্ব।*