প্রয়াত হলেন প্রাক্তন বরো চেয়ারম্যান ইন্দ্রজিৎ ভট্টাচার্য্য
পরিমল কর্মকার (কলকাতা) : কিছুদিন যাবৎ লিভার সমস্যা নিয়ে ভুগছিলেন কলকাতা পুরসভার ১৬ নম্বর বরো কমিটির চেয়ারম্যান ইন্দ্রজিৎ ভট্টাচার্য্য। তিনি বেহালার ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডের নেতাজি সুভাষ রোডের বাসিন্দা ছিলেন। শারীরিক অসুস্থতা সত্বেও জোকা বরো অফিস থেকে শুরু করে দলীয় সভা-সমিতি ও কর্মসূচিতে তাঁর উপস্থিতি ছিল প্রায় নিয়মিতই। তবে গত ৩/৪ দিন আগে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। ওইদিনই তাকে ক্যালকাটা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু হাসপাতালে ক্রমশঃই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। শনিবার (২৮ নভেম্বর) সকালে তিনি প্রয়াত হন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৮ বছর। অসুস্থতার কারণে অকালেই প্রয়াত হলেন তিনি।
উল্লেখ্য, নিউ অালিপুর কলেজের ছাত্র ইন্দ্রজিৎ ভট্টাচার্য্য কংগ্রেসের ছাত্র রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
এরপর এক সময় দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলা যুব কংগ্রেসের সভাপতিও ছিলেন তিনি। তৃণমূল কংগ্রেস গঠন হওয়ার পর তিনি তৃণমূলে যোগ দেন।
প্রথমবার ২০১০ সালে কলকাতা পুরসভার ১২৪ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেই তিনি সিপিএমের রণবীর দত্তকে ১৯৯৭ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত করে পুরপ্রতিনিধি নির্বাচিত হন। পরের বার অর্থাৎ ২০১৫ সালে ১৪৩ নম্বর ওয়ার্ডে তিনি সিপিএমের শৌভিক চৌধুরীকে ২০২৫ ভোটে পরাজিত করেন। ২০১৫ থেকে ২০২০ এই পাঁচ বছর তিনি ছিলেন কলকাতা পুরসভার (জোকা) ১৬ নম্বর বরো কমিটির চেয়ারম্যান। পরে আমৃত্যু এই বরোর কো-অর্ডিনেটরের দায়িত্বে ছিলেন।
শনিবার দুপুরে তাঁর মরদেহ বেহালার বাড়িতে পৌছুলে ভীড় উপচে পড়ে। মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় মাল্যদান করে তাঁকে শেষশ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। এদিন তাঁকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর অভিজিৎ মুখার্জী, প্রাক্তন কাউন্সিলর সঞ্চিতা মিত্র, ঘনশ্রী বাগ, রঘুনাথ পাত্র, অশোকা মণ্ডল ও অন্যান্য প্রাক্তন কাউন্সিলররা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের শক্তি মণ্ডল, রত্না চ্যাটার্জী, সুব্রত মিস্ত্রি, সন্দীপ রায়, বিদ্যুৎ মিত্র প্রমুখ। কেওড়াতলা মহাশ্মশানে তাঁকে শ্রদ্ধা জানান মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, ফিরহাদ হাকিম সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।