নিউজ ডেস্ক,অয়ন বাংলা:- সিপিএম করে বাংলায় আর উন্নয়ন সম্ভব নয় এই উপলব্ধি করেছেন বলেই অনেক সিপিএন নেতা কর্মী উন্নয়নের স্রোতে নিজেদের শামিল করছেন , আর উন্নয়ন আর সততার প্রতীক একজনেরই , তার নাম মমতা ।প্রসঙ্গত সিপিএমে দীর্ঘ কয়েক বছর সময় নষ্ট করার পর এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নে উজ্জীবিত হয়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন জ্যোতির্ময়ী শিকদার।২০০৪ সালের লোকসভা ভোটে নদিয়ার কৃষ্ণনগর থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হন জ্যোতির্ময়ী। রাজ্যের তৎকালীন ক্রীড়ামন্ত্রী প্রয়াত সুভাষ চক্রবর্তীর বদান্যতায় টিকিট পেয়ে সংসদে যান তিনি। ২০০৯ সালেও একই কেন্দ্রে তাঁকে প্রার্থী করে বামফ্রন্ট। কিন্তু সে বার তিনি তৃণমূল প্রার্থী তাপস পালের কাছে হেরে যান। শেষ বার ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুর দক্ষিণ কেন্দ্রে প্রার্থী হয়ে পরাজিত হন। কিন্তু দলের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ অব্যাহত ছিল বলেই জানা যায়।এ দিন রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসু এবং বিধানগর পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারপার্সন কৃষ্ণা চক্রবর্তীর সঙ্গে সভা শুরুর আগে থেকেই দেখা যায় কয়েক বছর আগেও মমতার বিরুদ্ধে সুর চড়ানো সিপিএম নেত্রী জ্যোতির্ময়ীকে। বারাসতের তৃণমূল প্রার্থী কাকলি ঘোষদস্তিদারের সমর্থনে এ দিন রাজারহাট নিউটাউনে সভা করেন মমতা। সেখানে জ্যোতির্ময়ীকে টেলিভশনে দেখে অবাক হয়ে যান সিপিএম নেতারাও। কারণ, কয়েক দিন আগে পর্যন্ত তাঁকে সিপিএমের অনুষ্ঠানে তাঁকে যোগ দিতে দেখা গিয়েছে। অন্য দিকথেকে সব্যসাচী দত্তকেও সেই একই মঞ্চে দেখা যাই । সব্যসাচী খুব ভালো ভাবেই তৃণমূলে যে রয়েছেন যেন সেটাই নিন্দুকদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে গেলেন ।অনেক বিজেপি নেতাই বুঝতে পারছেন বাংলায় পদ্ম আর সেরকম ভাবে ফুটবে না।