নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে দেশ জোড়া প্রতিবাদ আন্দোলন ছিলই। সঙ্গে জুড়ে গিয়েছে জেএনইউ-তে সাম্প্রতিক বর্বরোচিত হামলা। এই নিয়ে আপাতত আলোড়িত গোটা দেশ। প্রতিদিনই বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদ মিছিল, সমাবেশ চলছে। আর এই বিষয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তরুণরাই। আর এই তরুণদের সঙ্গেই এসে দাঁড়িয়েছেন এক ১০১ বছরের স্বাধীনতা সংগ্রামীও।
১০১ বছরের দীর্ঘ জীবনে হরোহাল্লি শ্রীনিবাসাইয়া দোরেস্বামী অনেক কিছু দেখেছেন। চোখের সামনে বদলে যেতে দেখেছেন দেশকে। ব্রিটিশ শাসনাধীনে ভারতকে দেখেছেন। বহু বছরের প্রতিরোধের পরেও দেশকে স্বাধীনতা পেতেও দেখেছেন। তাই তাঁর মতো ব্যক্তিত্ব যখন জেএনইউ শিক্ষার্থীদের উপর সাম্প্রতিক হামলা এবং সিএএ এর বিরোধিতায় রাস্তায় নামেন সুতরাং তখন সেটা একটা অতি স্মরণীয় মুহূর্ত তা বলাই বাহুল্য।
বয়সের ভারে শরীর এখন অশক্ত। হুইল চেয়ারই ভরসা। তবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের এখনও বরাবরের মতো আপোষহীন। সম্প্রতি বেঙ্গালুরুতে প্রতিবাদের অংশ হিসেবে এক অনশন ধর্মঘটে অন্যান্য বহু মানুষের সঙ্গে এই মানুষটিও যোগ দিয়েছিলেন। শেষে ডাবের জল দিয়ে তিনি উপবাস ভঙ্গ করেন। সেই ভিডিও এখন ইন্টারনেটে ভাইরাল।
ডেস্ক নিউজ:- গোটা ভারতের আন্দোলন ক্রমশ অতি সক্রিয় হচ্ছে ,স্বাধীনতা সংগ্রামে জীবনের সেরা সময় ব্যায় করেছেন ,আর আজ সেই প্রবীণ স্বাধীনতা সংগ্রামী জীবন সায়াহ্ণে এসে আবার শুরু করেছেন লড়াই এন আর সি এন পি আর ,সি এ এ এর বিরুদ্ধে। জীবনের প্রায় শুরু থেকেই হরোহল্লি শ্রীনিবাসাইয়া দোরসস্বামী অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে এসেছেন। তিনি এবং তাঁর ভাই স্বাধীনতার আগে ব্রিটিশ সরকারের কিছু গুরুত্বপূর্ণ দলিল নষ্ট করার উদ্দেশ্যে টাইম বোমা তৈরির পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু ধরা পড়ে গিয়ে ঠাঁই হয় কারাগারে। আর এই বন্দিজীবনই তাঁর মধ্যে বিরাট পরিবর্তন এনেছিল। মুক্তির পর তিনি মহাত্মা গান্ধীর অহিংসা এবং সত্যগ্রহের পথ ধরেন।
পরবর্তীকালে ১৯৪৭ সালে, তিনি তাঁর পত্রিকায় মহীশুর চলো আন্দোলনে অংশ নেওয়ার সপক্ষে একের পর এক নিবন্ধ প্রকাশ করেছিলেন। নিজেও সেই আন্দোলনের অংশ হয়েছিলেন। আরও একবার স্বাধীনতার সাত দশক পর ফের অন্যায়ের বিরুদ্ধে পথে নামলেন তিনি।