নদীয়ার নবদ্বীপে সোশ্যাল মিডিয়ায় লাগাতার অশালীন পোস্ট, কুপ্রস্তাব নাবালিকা ছাত্রীকে, গ্রেপ্তার গৃহশিক্ষক
সমীর দাস . অয়ন বাংলা .নদীয়া :- নদীয়া নাবালিকা ছাত্রীর হোয়াটস আপ নম্বরে লাগাতর অশালীন পোস্ট ও অশ্লীল ভাষায় কুপ্রস্তাব দিয়ে উত্যক্ত করার অভিযোগে এক গৃহশিক্ষক কে গ্রেফতার করল নবদ্বীপ থানার পুলিশ। পুলিশ জানায়, গ্রেফতার হওয়া গৃহ শিক্ষকের নাম স্নেহাশীষ রায়। বয়স একত্রিশ। বাড়ি নবদ্বীপ পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ডের ওলাদেবীতলা এলাকায়। এদিকে এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার কথা জানাজানি হতেই তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে চৈতন্যভূমি নবদ্বীপে। একজন শিক্ষকের এহেন কৃত্তিতে স্তম্ভিত শহরের আপামর শিক্ষক মহল। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানতে পারা যায়, নবদ্বীপ থানার বুড়োশিবতলা রোডে বৈদিক সংস্কৃত শিক্ষাকেন্দ্র নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালান, নবদ্বীপ পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা তথা কৃষ্ণনগরের একটি কলেজের চুক্তিভিত্তিক অধ্যাপক স্নেহাশীষ রায়। সেখানে বহু ছাত্রীর পাশাপাশি পড়তে যেত নবদ্বীপ বিদ্যাসাগর কলেজের প্রথম বর্ষের আনুমানিক ১৭ বছরের নির্যাতিতা নাবালিকা ওই ছাত্রী। ছাত্রীর মার অভিযোগ, শুধু মোবাইলে ম্যাসেজের মাধ্যমেই নয়, মেয়েকে শারীরিক ভাবেও নির্যাতন চালাত অভিযুক্ত ওই শিক্ষক। ছাত্রীর মায়ের আরও অভিযোগ, বিষয়টি কাউকে জানালে ফল ভাল হবেনা বলেও হুমকি দিত ওই শিক্ষক। নির্যাতিতা কলেজ ছাত্রীর মায়ের অভিযোগ, দুহাজার উনিশ সাল থেকে মেয়ের উপর শারীরিক নির্যাতন চালিয়ে আসছে অভিযুক্ত ওই গৃহশিক্ষক। ওই শিক্ষক এই বলে হুমকি দিত যে, বিষয়টি কাউকে জানালেও তাকে কেউ কিছু করতে পারবেনা। তার এক ডাকেই পঞ্চাশটি ছেলে তার পাশে এসে দাঁড়াবে। নির্যাতিতা নাবালিকার মা বলেন, এতদিন ভয়ে কাউকে কিছু জানাতে পারেনি। এদিন শহরের বেশকিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা আমাদের পাশে দাঁড়াতেই কিছুটা মানসিক বল পাই। তারপরই সিদ্ধান্ত নিই যে, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানাব। সেই মতো বৃহস্পতিবার বিকেলে অভিযুক্ত শিক্ষক স্নেহাশীষ রায়ের নামে নবদ্বীপ থানায় লিখিত অভিযোগ জানাই। অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নেমে অভিযুক্ত শিক্ষককে এদিন রাতেই তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে নবদ্বীপ থানার পুলিশ।