হালিশহর ব্যারাকপুরের পর এবার কি জেলাপরিষদও হাতছাড়া হতে চলেছে বিজেপির?

Spread the love

নিউজ ডেস্ক,অয়ন বাংলা :- এবার কি জেলাপরিষদ বিজেপির হাতছাড়া হতে চলল?? বিজেপিতে যোগদানকারী জেলা পরিষদ সদস্যরা আবার তৃণমূলে ফিরতে শুরু করলেন। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদ হাতছাড়া হওয়ার পরপরই যে দাবি করেছিলেন অর্পিতা ঘোষ, শনিবার তা সত্য বলেই প্রমাণিত হল ।এদিন শাসকদলে ফিরলেন বিজেপিতে যোগ দেওয়া জেলা পরিষদের ১০ সদস্যর মধ্যে তিন জন। ফলে মোট ১৮ সদস্যর জেলা পরিষদের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠতা বজায় রাখল ঘাসফুল শিবির। এবং ১১ জন সদস্য নিয়ে, এবার আইনি পথেই জেলা পরিষদ দখল করবেন বলে, হুঁশিয়ারি দিলেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি অর্পিতা ঘোষ।

প্রসঙ্গত, গত ২৪ জুন প্রাক্তন জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্রের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দেন সভাধিপতি লিপিকা রায়, পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মফিজুদ্দিন মিঁয়ারা।

গেরুয়া শিবিরে নাম লেখান কর্মাধ্যক্ষ বিশ্বনাথ পাহান, শিপ্রা নিয়োগী, চিন্তামণি বিহা, প্রতিভা মণ্ডল, ইরা রায়, শংকর সরকার, পঞ্চানন বর্মন। স্বাভাবিক ভাবেই তৃণমূল পরিচালিত জেলা পরিষদ হাতছাড়া হয় তৃণমূলের। দখল নেয় বিজেপি। জানা গিয়েছে, ৬ জুন দিল্লি থেকে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় ফেরেন সভাধিপতি-সহ জেলা পরিষদের ওই ১০ জন সদস্য। বৃহস্পতিবার অর্থাত্‍ ১১ জুন ৬ জন সদস্য আনুষ্ঠানিক ভাবে জেলা পরিষদের দখল। অনুপস্থিত থাকেন বিশ্বনাথ পাহান, গৌরী মালি, ইরা রায় এবং পঞ্চানন বর্মন। ওই চারজন ব্যক্তিগত কারণে আসতে পারেনি বলে দাবি করে বিজেপি। তবে তখন থেকেই জল্পনার সূত্রপাত হয়।
শোনা যায়, শাসকদলে নাম লেখাতে পারেন তাঁরা। শনিবার অবশেষে সেই আশঙ্কাই সত্যি হল। এদিন বালুরঘাট পুরসভার সূবর্ণতটে ঢাকঢোল পিটিয়ে ফের তৃণমূলে যোগ দিলেন ইরা রায়, পঞ্চানন বর্মণ এবং গৌরী মালিরা। পুরনো দলে ফিরে এই তিন জেলা পরিষদের সদস্য জানান, বিজেপি তাঁদের জোর করে দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে যোগদান করিয়েছে। খানিকটা বিভ্রান্ত হয়েই তাঁরা বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। দিল্লি থেকে ফিরে এসে তাঁরা এ বিষয়ে চিন্তা ভাবনা করেন। নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেন। এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্ত করতেই ফের তৃণমূলে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন।

‘মেড ইন চায়না চাণক্য’! কাঁচরাপাড়া পুরসভা পুনর্দখল করে মুকুলকে কটাক্ষ অভিষেকের

এ বিষয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি অর্পিতা ঘোষ বলেন, ”আগে থেকেই তৃণমূলের সঙ্গে রয়েছেন ৮ সদস্য। এবার আরও তিনজন যোগ দিলেন। মোট হল ১১ জন। আরও ৩ জন আমাদের সাথে যোগাযোগ করছে। জেলা পরিষদের ১৮ জনের মধ্যে ১৪ জন তৃণমূলের সঙ্গে থাকবে। এই সদস্যদের থেকে বলপূর্বক হলফনামা নিয়েছিল বিজেপি। এদিন এফিডেভিট করে তাঁরা তৃণমূলে ফিরলেন। সময় লাগলেও আমরা আইনি পথে লড়ব। এই জেলা পরিষদ তৃণমূলের ছিল এবং থাকবে। ২০১৫-র নতুন পঞ্চায়েত আইন অনুযায়ী আমরা এগোচ্ছি।” অন্যদিকে বিজেপি নেতা বিপ্লব মিত্র জানান, ”কাউকে গান পয়েন্টে রেখে, কাউকে খুনের মামলার ভয় দেখিয়ে, আবার কাউকে নিষিদ্ধ ফেনসিডিলের মামলার হুমকি দিয়ে যোগদান করিয়েছে তৃণমূল। পুলিশ-প্রশাসন ওদের হাতে রয়েছে। তাই যা খুশি করছে। তবে এই দিনের পরিবর্তন হবে। তখন সব কিছু ধরা পড়বে।” এ যে বিজেপির স্বপ্ন এখন দুঃস্বপ্ন হয়ে উঠছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.