২০২১ এ বাংলায় কে মুখ্যমন্ত্রী হবেন তা ঠিক করবেন তিনিই, দাবি আব্বাস সিদ্দিকীর
পরিমল কর্মকার (কলকাতা) : কলকাতার ব্রিগেডে বাম- কংগ্রেস ও আইএসএফ এই সংযুক্ত মোর্চার অভূতপূর্ব ঐতিহাসিক ব্রিগেড সমাবেশের পর আব্বাস সিদ্দিকীর দাবি ২০২১ এ রাজ্যে কে মুখ্যমন্ত্রী হবেন তা ঠিক করবেন তিনিই।
প্রসঙ্গত: আব্বাস সিদ্দিকীর ইন্ডিয়ান সেক্যুলার ফ্রন্ট (ISF) নামের দলটি মাত্র মাস দেড়েক আগে কলকাতা প্রেসক্লাবে প্রায় ৩০০/৪০০ সাংবাদিকের উপস্থিতিতে ঘোষণা হয়েছে। এরই মধ্যে রাজ্যের সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে যুব সমাজের কাছে তাদের ISF দলটি অপরিসীম গ্রহণযোগ্যতা ও অসংখ্য জনসমর্থন আদায়ে সক্ষম হয়েছে বলে দাবি করেছেন আব্বাস সিদ্দিকী।
সম্প্রতি ব্রিগেডে সেদিন বাম-কংগ্রেস ও ISF এর যৌথ সভা থাকলেও ব্রিগেড ভরিয়েছে আব্বাসের সমর্থকরাই…. এমনটাও বলতে কসুর করছেন না রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
প্রসঙ্গত: আব্বাস সিদ্দিকীর দল ISF এর সঙ্গে বাম ও কংগ্রেসের জোট হওয়ার আগে পর্যন্ত তৃনমূল ও বিজেপি’র বিরুদ্ধে বাম ও কংগ্রেসকে কেউ প্রতিপক্ষ বলে মানতেই চাননি। এমনকি এই সংযুক্ত মোর্চার ব্রিগেড সমাবেশে আদৌ মাঠের অর্ধেক ভরবে কিনা তা নিয়েও সংশয়ে ছিলেন রাজ্যের বহু রাজনীতিবিদ ও বিশ্লেষকরা।
কিন্তু ওইদিন লক্ষ লক্ষ মানুষের জমায়েতে ব্রিগেডের জনস্রোত সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলো ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের হিসেব নিকেশকে উল্টে-পাল্টে দিয়েছে। অনেকেই বলেছেন, ওইদিন তিন দলের মধ্যে আব্বাসের কর্মী সমর্থকদের উপস্থিতিই ছিল প্রায় ৭৫ %…… বাংলার যুব সমাজের অধিকাংশই এখন আব্বাসকে তাদের রাজনীতির “আইড়ল” হিসেবে মানতে কসুর করছেন না।
এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে আব্বাস সিদ্দিকীর কাছে প্রশ্ন রাখা হয়েছিল, “পশ্চিমবঙ্গে ২৯৪ টা আসনের মধ্যে আপনার ISF দল মাত্র ৪৪ টা আসন নিয়ে কিভাবে সরকার ও মুখ্যমন্ত্রী নির্ধারণ করবেন ?” প্রত্যুত্তরে আব্বাস বলেছেন, বাংলার মানুষ সাম্প্রদায়িক বিজেপি ও দুনিতিগ্রস্থ তৃণমূলকে আর চাইছেন না। বিকল্প শক্তি হিসেবে সংযুক্ত মোর্চাকেই তারা সমর্থন ও গ্রহণ করবেন এবং রাজ্যে তাদেরই ক্ষমতায় বসাবেন। তা সত্বেও বিধানসভা যদি ত্রিশঙ্কুও হয়, সেক্ষেত্রে সংযুক্ত মোর্চাই ঠিক করবে রাজ্যে কারা সরকার গড়বেন আর কে মুখ্যমন্ত্রী হবেন ? তবে এতে মূল ভূমিকায় থাকবেন আব্বাস সিদ্দিকী…. অন্ততঃ এমনটাই দাবি তাঁর।