‘জয় শ্রীরাম’ বলতে না চাওয়ায় ক্যানিং লোকালে আক্রান্ত হয়েছিলেন মাদ্রাসা শিক্ষক শাহরুখ হালদার তাঁর পাশে দাড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী

Spread the love

অয়ন বাংলা ,নিউজ ডেস্ক:- মানবিক মমতা ,ক্যানিং লোকালের আক্রান্তের পাশে। ‘জয় শ্রীরাম’ বলতে না চাওয়ায় ক্যানিং লোকালে আক্রান্ত হয়েছিলেন মাদ্রাসা শিক্ষক শাহরুখ হালদার। এবার আক্রান্ত সংখ্যালঘু যুবকের পাশে দাঁড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার ক্যানিং লোকালের সেই ঘটনায় ২ জন আহত হয়েছিলেন। সূত্রের খবর, এদিন দু’জনকেই ফোন করেন মমতা। সেদিনের ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য নেন তিনি। এমনকী রাজ্যের তরফে আক্রান্ত দু’জনকে ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলেও জানিয়ে দিয়েছেন মমতা। সেই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়ারও আশ্বাস দেন।
হাফিজ মহম্মদ শাহরুখ হালদার নামের ওই যুবক দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর বাসিন্দা। গত বৃহস্পতিবার তিনি কোনও কাজে হুগলি যাওয়ার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন। কলকাতা যাওয়ার পথে একদল রামভক্ত তাঁর উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ করছেন পেশায় মাদ্রাসা শিক্ষক শাহরুখ। ওই যুবকের অভিযোগ, চলন্ত ট্রেনে একদল যুবক ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দিচ্ছিলেন। ট্রেন ঢাকুরিয়া থেকে ছেড়ে যাওয়ার পর হঠাৎই ওই দলটির কয়েকজন সদস্য তাঁকে ‘জয় শ্রীরাম’ বলার জন্য চাপ দেওয়া শুরু করে। কিন্তু তিনি তাতে রাজি না হওয়ায় তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ওই যুবকের অভিযোগ, ট্রেনে কামরা ভরতি লোকের সামনে তাঁকে মারধর করা হলেও কেউ তাঁর সাহায্যে এগিয়ে আসেননি। শেষপর্যন্ত পার্ক সার্কাস স্টেশনে তাঁকে নামিয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনা জানাজানি হতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় শুরু হয় বিস্তর সমালোচনা।
এবার খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আক্রান্তের পাশে দাঁড়ালেন। উল্লেখ্য, লোকসভার পর থেকেই ‘জয় শ্রীরাম’ ইস্যুতে উত্তাল হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। একাধিকবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঘিরে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দেওয়া হয়েছে। যার জেরে একাধিকবার মেজাজও হারিয়েছেন মমতা। বিজেপি মমতার এই ‘জয় শ্রীরাম’ বিরোধিতাকে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে কাজে লাগানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীকে একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের প্রতি পক্ষপাতী এবং মানসিকভাবে অসুস্থ বলতেও ছাড়েননি রাজ্য বিজেপির নেতারা। পরিস্থিতি এমনই যে খোদ রাজ্যপালকেও এ নিয়ে মন্তব্য করতে হয়েছে। রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীও বলেছেন, জয় শ্রীরাম এখন ধর্মীয় স্লোগান থেকে রাজনৈতিক স্লোগানে পরিণত হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.