নিউজ ডেস্ক :- একসময়ে মমতা সরকারের বন্ধু হেমন্ত সোরেন এবার পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলেন। তাও একটা বা দুটো আসনে নয়, বৃহস্পতিবার রাজ্যে এসে মোট ৪০টি আদিবাসী অধ্যুষিত আসনে প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী।
শুধু তাই নয়, পরোক্ষে এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে তোপও দেগেছেন তিনি। যা একেবারেই ভালভাবে নেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোরেনকে সরাসরিই তোপ দেগেছেন তিনি। মমতার স্পষ্ট বার্তা, “আগে ঝাড়খন্ড সামলাও। আমি তো ঝাড়খণ্ডের বাঙালি ভোট চাইতে যাই না।”
তবে মমতা ব্যানার্জি মুখে ঝাড়খণ্ডে বাঙালি ভোট চাইতে যায় না বললেও গত ঝাড়খণ্ড বিধানসভা নির্বাচনে ২৬ টি আসনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী দিয়েছিলেন। এবং প্রত্যেকটি আসনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীদের জামানত জব্দ হয়েছিল। এবং প্রাপ্ত ভোট ছিল ০.২৯ শতাংশ। এবং তৎকালীন সময়ে হেমন্ত সোরেনের ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা বিজেপি বিরোধী ভোট ভাগে তৃণমূলের উপর যথেষ্ট ক্ষুব্ধ ছিল।
গতকাল ঝাড়গ্রামের জামদা সার্কাস ময়দানে একটি জনসভা করেন ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার (JMM) সভাপতি তথা ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকেই তিনি ঘোষণা করেন, বিধানসভা ভোটে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামের ৪০টি আসনে লড়বে তাঁর দল।
জানিয়ে দেন,”বাংলার আদিবাসীদের অধিকার নিয়ে জেএমএম লড়াই করবে। আদিবাসীদের এখন চাক্কিতে পেষা হচ্ছে। নতুন নতুন আইন তৈরি হচ্ছে। আমি বারেবারে এই বাংলায় আসব। আদিবাসীদের অধিকার রক্ষার জন্য সংবিধানে উল্লিখিত পঞ্চম তফসিল তৈরি করতে হবে, এই এলাকায় আদিবাসীদের উন্নয়নের জন্য আলাদা কেন্দ্রীয় পর্ষদ গড়তে হবে।”