ওয়েব ডেস্ক,(জিম নওয়াজ দার লেখা), অয়ন বাংলা:-শিক্ষার মধ্যেও সুষ্ঠভাবে গেরুয়াকরনের প্রভাব। উত্তর ২৪পরগনা জেলার গোবরডাঙ্গা গাইঘাটার মধ্যে অবস্থিত ইছাপুর হাইস্কুল। স্কুলটির অষ্টম শ্রেণির ইতিহাসের ফার্স্ট সামেটিভ পরীক্ষার ১নম্বর ক) দাগের প্রশ্নটি লক্ষ্য করে দেখুন,
“মুসলিম যুগ ভারত ইতিহাসে-(আলোর/ অন্ধকারময়/আধুনিক) যুগ।”
প্রশ্নের বিষয় বা প্যাটার্ন কী সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত? আমার এক ইতিহাস শিক্ষক বন্ধুকে জিজ্ঞেস করলাম। সটান না বলে দিলেন।
মুসলিমদের কলঙ্কিত করে অথবা বিকৃত কিংবা চেপে দিয়ে ভারতীয় উপমহাদেশে ইতিহাস পাঠ লুটেরা ইংরেজ এবং তাদের পোষ্য দালালদের দ্বারা প্রচলন, একথা নতুন নয়। এরপরেও এই সময়ে এসে অষ্টম শ্রেণির নাবালকদের পরীক্ষায় এধরণের প্রশ্ন অবশ্যই সাম্প্রদায়িক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। দায়িত্বপ্রাপ্ত সাম্প্রদায়িক শিক্ষকের উদ্দেশ্যই হল ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে মুসলিম বিদ্বেষ তৈরি করা। গভর্নমেন্ট স্পন্সর্ড একটি স্কুলে ছাত্রছাত্রীদের মনে এভাবে সাম্প্রদায়িক বিষ ঢুকিয়ে দেওয়া সংবিধান বিরুদ্ধ গর্হিত অপরাধ।
রাজ্য সরকার, রাজ্য সরকারের শিক্ষাদপ্তর এবং পশ্চিমবঙ্গ শিশু অধিকার সুরক্ষা আয়োগকে বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত। দায়ী শিক্ষকের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। সেইসাথে শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মানুষদেরও সোচ্চার হওয়া উচিত, যেভাবে স্বচ্ছভাবে মেধার ভিত্তিতে যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ আন্দোলন এবং অনশনের পক্ষে সোচ্চার হয়েছিলেন।