ওয়েবডেস্ক:- করোনা ভাইরাস নিয়ে গোটা দেশ যখন আতঙ্কে তখন এক বিশেষ ধর্ম সম্প্রদায়ের মানুষকে নিয়ে চলছে এক অসামাজিক খেলা । করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত নয় এমন মানুষ নেই। কিন্তু ভারতে যেভাবে ভাইরাসকে ধর্মের সঙ্গে মিলিয়ে দেওয়া হচ্ছে তাও অবাক করছে মানুষকে। সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের মিরাটের এক ঘটনা বিতর্ক বাড়িয়েছে। সেখানের এক হাসপাতাল স্থানীয় কাগজে বিজ্ঞাপন দিয়েছে যে, মুসলিম রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগে ভাইরাস টেস্ট করতে হবে। এই বিজ্ঞাপন প্রবলভাবে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। হাসপাতালের মালিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
মিরাটের ওই হাসপাতাল স্থানীয় খবরের কাগজে বিজ্ঞাপন দিয়েছিল যে, মুসলিম রোগী এবং তাদের পরিজনদের হাসপাতালে ভর্তি এবং প্রবেশের আগে ভাইরাস টেস্ট করা হবে। তারা নেগেটিভ এলেই তবে ভর্তি করাতে পারবেন রোগীকে। পজেটিভ এলে হাসপাতালে ভর্তি নেওয়া হবে না। এই বিজ্ঞাপন চোখে পড়তেই সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ জন্মায়। পরিস্থিতি হাতের বাইরে যাচ্ছে ভেবে পরবর্তী একটি বিজ্ঞাপনে নিজেদের মত স্পষ্ট করতে চায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তার আগেই হাসপাতালের মালিকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। প্রসঙ্গত উত্তরপ্রদেশের মোট জনসংখ্যার কমপক্ষে ২০% মুসলিম। সেই প্রেক্ষিতে বলাই যায় এই বিজ্ঞাপন কতটা বিতর্ক বা দিয়েছে গোটা রাজ্যে।
উল্লেখ্য, দিল্লিতে নিজামুদ্দিনের ঘটনা ঘটার পর থেকেই ভাইরাস নিয়েও মুসলিম বিরোধিতা শুরু হয়েছে গোটা দেশে। ভারতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়াকে কেন্দ্র করে দায়ী করা হচ্ছে একমাত্র নিজামউদ্দিনকেই। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই বিভিন্ন রাজ্যে মুসলিম রোগী এবং অন্যান্য সাধারণ মানুষদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করা হচ্ছে। সম্প্রতি গুজরাটের এক হাসপাতাল হিন্দু এবং মুসলিম করোনা রোগীদের জন্য আলাদা আলাদা ওয়ার্ড তৈরি করেছিল। এই ঘটনা সামনে আসতে ও ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। যদিও পরবর্তী ক্ষেত্রে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সেই কথা অস্বীকার করেছিল।
নিজামুদ্দিনের কান্ড কে দোষের উর্ধ্বে নয় ,কিন্তু সব বিষয়ে নিজামুদ্দিনের ঘটনাকে টেনে আনা এক জঘন্য খেলা।