হাসপাতালে ভর্তি অর্থপেডিকের রোগী, সপ্তাহ খানেক পর বেহালা বিদ্যাসাগর হাসপাতালেই করোনা’য় আক্রান্ত
পরিমল কর্মকার, কলকাতা : উত্তর কলকাতা থেকে আসা এক অর্থোপেডিক রোগী করোনা’য় আক্রান্ত হলেন বেহালা বিদ্যাসাগর হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সাতদিন পর। এনিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। ইতিমধ্যেই এই হাসপাতালের দু’টি বিভাগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শুধু এই হাসপাতালই নয়, অন্য যে কোনও হাসপাতালে অন্য রোগের উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসা করাতে গেলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে “করোনা স্ট্যাম্প” পড়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ। এনিয়ে আতঙ্কিত সাধারণ মানুষ।
সূত্রের খবর, গত ২৬ এপ্রিল বেলা সাড়ে দশটা নাগাদ উত্তর কলকাতার জগাছা থানা এলাকার বিডন স্ট্রিটের বাসিন্দা এক মহিলা (৬২) ভর্তি হয় বেহালা বিদ্যাসাগর হাসপাতালে। তিনি ভর্তি হয়েছিলেন অর্থোপেডিক চিকিৎসার জন্য। মূলতঃ হাড়’এর চিকিৎসা অথবা অপারেশনের জন্যই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
কিন্তু দিন সাতেক কাটতে না কাটতেই ওই রোগীকে বলা হয়, করোনা টেস্ট করতে হবে। যথারীতি টেস্ট হয়ও। তারপরই রিপোর্টে জানা যায় তার নাকি করোনা পজিটিভ। এরপরই তড়িঘড়ি করে তাকে এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
এলাকার মানুষের বক্তব্য, বর্তমান পরিস্থিতিতে হাসপাতাল বা নার্সিং হোমে ভর্তি হতে গেলেই রোগীকে আগে “চেকআপ” করে দেখে নেওয়া হয় যে, তার করোনা সংক্রান্ত কোনও উপসর্গ আছে কিনা! তাহলে ওই রোগীর ক্ষেত্রেও নিশ্চয়ই সেটা করা হয়েছিল। অর্থাৎ তিনি করোনা’য় আক্রান্ত ছিলেন না। করোনা উপসর্গ থাকলে তাকে নিশ্চয়ই এই হাসপাতালে ভর্তি রাখা হতো না।
অভিযোগ, বেহালার বিদ্যাসাগর হাসপাতালে ভর্তির পরই নিশ্চিত ভাবে ওই রোগী করোনা’য় আক্রান্ত হয়েছেন। এনিয়ে কোনও সন্দেহই নেই। অবশ্য এব্যাপারে ওই হাসপাতালে যোগাযোগ করলে চিকিৎসকরাও এ অভিযোগ স্বীকার করে নেন। বাসিন্দাদের অভিযোগ, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই হাসপাতাল থেকে এই সংক্রমণ ছড়াচ্ছে।
এই ঘটনায় বিগত চার পাঁচ দিন আগে হাসপাতালের “মহিলা শল্য চিকিৎসা বিভাগ” এবং পাশাপাশি থাকার দারুন “শিশু বিভাগ”টিও আপাতত: বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।