আজ বিশ্ব প্রবীণ দিবস!
কেমন আছেন তাঁরা??
সমীর দাস :- এককালে আমাদের মতনই কর্মচঞ্চল , রাতদিন হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রম করে সংসারের সেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মানুষটি আজ সাদা চুল, হাতে লাঠি , মনে বহু কথা চেপে বললেন “ভালো আছি ! শরীরটা একটু খারাপ যাচ্ছে।”ক্যামেরার সামনে ব্যাস এটুকুই। কিন্তু ক্যামেরা অফ হওয়ার পর ছল ছল চোখে সংসারে ব্রাত্য এই প্রবীণ মানুষটির নানা অভিমান উঠে আসলো। সকলেই প্রণাম করে, ফোনে অথবা বাড়িতে এসে খোঁজ খবর নেয তবে সবটাই যেন কৃত্রিম। ডিউটি পালনের মতন বিষয়। সব সময় ভয়ে ভয়ে চলা থুতু ফেলা বা প্রসাব পায়খানার বেগ সামলাতে না পারার ভয়। আর অভিমান? শুধু গায় মাথায় হাত বুলিয়ে বাবা মা ডাক না সোনা।
সারা জীবনের নানান অভিজ্ঞতার রোমন্থনে, নতুন করে কিছু করার শক্তি সামর্থ্যর অভাবে একপ্রকার মানসিকতা তৈরি হয়ে যায় মৃত্যুর জন্য। তাই ভয় তো লাগেই না! বরং অতি বড়ো নাস্তিকও ধর্মভীরু হয়ে পড়েন শেষ জীবনে। এমনই নানা গল্পের মধ্যে দিয়ে জানা গেল অনেক কিছু। করোনা আবহের আগে তাও পুকুর ধারে, খেলার মাঠে, রাস্তার পাশে, পাড়ার মোড়ে , চায়ের দোকানে, তাসের আড্ডায় মিলিত হতে পারতেন তাঁরা কিন্তু বর্তমানে তাও বন্ধ! আর বৃদ্ধারা! নানা সমস্যা এড়াতে ঠাকুর ঘরে কাটিয়ে দেওয়াকেই সঠিক বলে মনে করেন।
সবাইকেই একদিন এই পর্যায়ে পৌঁছাতে হবে। তখন হয়তো অনুভব করা যাবে আজকের “বিশ্ব প্রবীণ দিবস” এর মানে।