মুর্শিদাবাদ জেলার সামশেরগঞ্জে নদী গর্ভে তলিয়ে যাওয়ায় অসহায়, নিঃস্ব এলাকার কয়েক টি গ্রামের শত শত পরিবার

Spread the love

মুর্শিদাবাদ জেলার সামশেরগঞ্জে নদী গর্ভে তলিয়ে যাওয়ায় অসহায়, নিঃস্ব এলাকার কয়েক টি গ্রামের শত শত পরিবার

মোঃ ইজাজ আহামেদ ও মহ: মুস্তফা শেখ :-

মুর্শিদাবাদ জেলার গঙ্গা ভাঙ্গন দীর্ঘদিনের সমস্যা । দীর্ঘদিন থেকে নদী ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে এবং এই গঙ্গা ভাঙন একটি জাতীয় বিপর্যয় হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। প্রত্যেক বছর টাকা বরাদ্দের কথাও শুনা যায় কিন্তু নদীভাঙন প্রতিরোধের সুরাহা মেলেনা। গঙ্গার তিনটি গতি উচ্চ গতি, মধ্যগতি, নিম্ন গতি। নিম্ন গতি রাজমহল পাহাড় থেকে মোহনা অর্থাৎ বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত। মুর্শিদাবাদ জেলা গঙ্গার নিম্ন গতিতে অবস্থিত হওয়ায় পলি জমে নদীতে ছোট ছোট দ্বীপ অর্থাৎ চর সৃষ্টি হয়েছে নদীর মধ্যবর্তী জায়গায়। ফলে নদী নাব্যতা হারিয়েছে। মুর্শিদাবাদ জেলার সামসেরগঞ্জের ধানঘরা, শিবপুর, প্রতাপগঞ্জ এলাকায় নদী ভাঙ্গন বিশেষ করে সাম্প্রতিক কয়েক সপ্তাহ ধরে ব্যাপকহারে দেখা দিয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ধানঘরার পরিবারগুলো । ইতিমধ্যে অনেকের বাড়ি গঙ্গার অতলে তলিয়ে গেছে এবং অনেকে বাড়ি খালি করে ভেঙে নিয়েছে ইট,জানালা, দরজা রড পাওয়ার আশায়। এই নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধ করতে নদীর মধ্যবর্তী দ্বীপগুলো ড্রিলিং করে মাটি,বালি এই পাড়ে লাগিয়ে নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনা দরকার। দরকার নদীর ধার পাথর, কংক্রিট দিয়ে বাঁধানো। তবে নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধ করা যাবে বলে অনেকে মনে করেন। এলাকাবাসীর আর্জি সরকারের কাছে গঙ্গাভাঙনের চিরস্থায়ী সমাধান। বিশ্বের বেশরিভাগ শহরগুলো নদীর তীরেই অবস্থিত, বিজ্ঞানভিত্তিক উপায়ে সেগুলো বাঁধায় ভাঙনের কথা শোনা যায়না। নদী শহরের সৌন্দর্য আরো বৃদ্ধি করেছে। তাই নদী ভাঙ্গনে দরকার স্থায়ী সমাধান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.