ওয়ার্ড জুড়ে ব্যানারে ছয়ালাপ ১১৫ নম্বর ওয়ার্ডে “রঞ্জুকে চাই” অথচ বড় কোনও দলই এই প্রচারকে গুরুত্ব দিতে নারাজ
পরিমল কর্মকার (কলকাতা) : “দীপাবলি ও ছট পূজার শুভ কামনা… কে এম সি ১১৫ নম্বর ওয়ার্ডে রঞ্জুকে চাই….” এমনই এক অভিনব ব্যানার ও ফেস্টুনে ১১৫ নম্বর ওয়ার্ডের সমগ্র এলাকা ছয়ালাপ হয়ে গিয়েছে। উল্লেখ্য, বিগত দুর্গা পুজোতেও এই একই ধরনের ব্যানার-ফেস্টুন এই এলাকায় দেখা গিয়েছিল। অথচ এই “রঞ্জু” কে বা কোন ব্যক্তি সেটা এখনও এলাকার অধিকাংশ মানুষই জানেন না বলে জানা গিয়েছে। কারণ এই “রঞ্জু” নামের ব্যক্তির পদবী ব্যানারে উল্লেখিত নেই। তাই এই ব্যানার ও ফেস্টুনের বিষয়টিও স্পষ্ট নয়। এমনকি বড় কোনও রাজনৈতিক দলও এই প্রচারকে গুরুত্ব দিতে নারাজ বলে জানা গিয়েছে।
কারণ হিসেবে এলাকার অধিকাংশ মানুষই বলছেন ১১৫ নম্বর ওয়ার্ডে তো বর্তমানে তৃণমূল কো-অর্ডিনেটর তথা প্রাক্তন কাউন্সিলর রয়েছেন রত্না শুর। তিনি কলকাতা পুরসভায় চীফ হুইপও ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। তাঁর জনসংযোগও যথেষ্ট। তাই এই ওয়ার্ডে রত্নাদেবীর আসন তৃণমূলে পাকা বলেই জানা যাচ্ছে। তাহলে রঞ্জুবাবু কি রত্না শুরের বিরুদ্ধে বিজেপি কিংবা সিপিএম অথবা নির্দল প্রার্থী হিসেবে পুর নির্বাচনে দাঁড়াতে চলেছেন ? তাই তিনি কোন দলের হয়ে নির্বাচনে দাঁড়াতে চান সেটা এই ব্যানারে একেবারেই পরিষ্কার নয়।
সূত্রের খবর, রঞ্জুবাবু এই ওয়ার্ডেরই একজন বাসিন্দা। তিনি পেশায় একজন প্রমোটর। তিনিই এবার আসন্ন পুরসভায় ভোটে লড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে। তবে বিজেপি’র জেলা নেতৃত্ব জানিয়েছেন ১১৫ নম্বর ওয়ার্ডে তাদের প্রার্থী অনেক আগে থেকেই ঠিক করা রয়েছে… তাদের প্রার্থী “রঞ্জু” নয়। পাশাপাশি সিপিএম সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে তাদের প্রার্থী “রঞ্জু” নামের কোনও ব্যক্তি নয়… দলীয় কর্মী ছাড়া এভাবে তাদের প্রার্থী স্থির হয়না। এস ইউ আইও জানিয়েছে তাদের প্রার্থী “রঞ্জু” নয়। তাহলে বাকি রইলো নির্দল কিংবা অন্য কোনও রাজনৈতিক দল।
উল্লেখ্য, আসন্ন পুর নির্বাচনে ১১৫ নম্বর ওয়ার্ড থেকে রঞ্জুবাবু কোন দলের টিকিট পান সেটাই এখন দেখার….! অন্যথায় এই ব্যানার-ফেস্টুন সবই বৃথা হয়ে যাবে বলে অধিকাংশ মানুষের ধারণা।