ছবি :- প্রতীকি
‘বাঁচার আশা থাকলে তবেই মিলবে চিকিৎসা’, করোনা মোকাবিলায় ‘নিষ্ঠুর’ স্পেন
ডিজিটাল ডেস্ক::- সত্যিই আজ ভয়াবহ গোটা বিশ্বে করোনা ,।তাই আজ বাধ্য হয়ে এই সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে স্পেনে। বয়স বেশি। বাঁচার আশা কম। এই ধরনের করোনা আক্রান্ত রোগী পাবেন না চিকিৎসা। অপ্রতুল চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে মারক ভাইরাসের বিরুদ্ধে কঠিন যুদ্ধ জিততে এই নিষ্ঠুর সিদ্ধান্তই নিয়েছে স্পেন (Spain) সরকার।
স্পেনে হু হু করে বাড়ছে করোনা (COVID-19) আক্রান্তের সংখ্যা। প্রতিদিন মৃত্যু হচ্ছে শয়ে শয়ে মানুষের। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে হাজারে হাজারে। শুরু হয়ে গিয়েছে গোষ্ঠী সংক্রমণ। ইতিমধ্যেই প্রান গিয়েছে ৫ হাজার মানুষের। মুশকিল হল, হাজার হাজার আক্রান্ত মানুষকে ন্যূনতম চিকিৎসা দিতে পারছে না সে দেশের সরকার। হাসপাতাল, আইসোলেশন ওয়ার্ডে বেড অপ্রতুল। নেই উপযুক্ত চিকিৎসার সরঞ্জামও। যার ফলে ব্যপক হারে আক্রান্ত হচ্ছেন চিকিৎসক এবং চিকিৎসা কর্মীরা। ইতিমধ্যেই স্পেনে অন্তত ১০ হাজার চিকিৎসা কর্মী এই মারক ব্যাধিতে আক্রান্ত। রোগীদের উপযুক্ত চিকিৎসা দিতে না পারায় ভেঙ্গে পড়ছেন চিকিৎসকরাও। সব মিলিয়ে, গোটা চিকিৎসা ব্যবস্থাই ভেঙ্গে যাওয়ার জোগাড়।
তাই বাধ্য হয়ে স্পেন সরকার ঠিক করেছে, সব করোনা রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব না। চিকিৎসা তাঁরাই পাবেন যাঁদের আরও অন্তত ২ বছর বাচার সম্ভাবনা আছে। এবং সমাজের জন্য যারা বেশি প্রয়োজনীয়। কিন্তু, কাদের বেঁচে ফেরার সুযোগ থাকছে? আর কারাই বা সমাজের জন্য গুরুত্বপূর্ণ? এটা ঠিক করার ভারও গিয়ে পড়েছে চিকিৎসকদের ঘাড়ে। গত সপ্তাহেই চিকিৎসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, হাসপাতালে ভরতি নিতে হবে বেছে বেছে। সমাজে যাঁদের গুরুত্ব বেশি, সেই যুব সমাজই অগ্রাধিকার পাবে। চিকিৎসকরাও বাধ্য হয়ে সেটাই করছেন। এ প্রসঙ্গে মাদ্রিদের এক চিকিৎসক বলছেন, “আপনি একজনকে ভরতি করছেন মানে আর একজন ভরতি করার সুযোগ হারাচ্ছেন। আমরা চাই সবাই চিকিৎসা পাক, কিন্তু এই পরস্থিতিতে তা সম্ভব নয়।”
স্পেন সরকারের এই সিদ্ধান্তের জন্য সে দেশে অনেকেই বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছেন। সে কারনেই হয়তো তরতরিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা।
সৌজন্য:- সংবাদ প্রতিদিন