নিউজ ডেস্ক: – শুভেন্দুু বিজেপি তে বাড়ছে বিড়ম্বনা অধিকারী পরিবারের এই নিয়ে এবার মুখ খুললেন দিব্যেন্দু অধিকারী । জল্পনা সত্যি করে দল বদলেছেন তৃণমূলের প্রাক্তন মন্ত্রী-বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী । এর পর থেকেই তাঁর ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী, বাবা শিশির অধিকারীর রাজনৈতির ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল। সেই জল্পনা থামিয়ে দিব্যেন্দুর জবাব, ‘দল ছাড়ছি না’। তবে মুখে কুলুপ এঁটেছেন শিশির অধিকারী।
সংবাদমাধ্যমকে শনিবার দিব্যেন্দু বলেন, “এটা শুভেন্দু অধিকারীর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। একই পরিবারে আছি। তবে আমি তৃণমূলের সাংসদ আছি, থাকব। আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগত সৈনিক। আগামিদিনেও থাকব।” হলদিয়ার সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীকে ভবিষ্যতে কি বিজেপিতে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে, প্রশ্ন করলে তাঁর উত্তর, “এটি অমূলক প্রশ্ন। আমি তো আর পাগলা ষাঁড় হয়ে যাইনি। আমার অবস্থান স্পষ্ট।” প্রাক্তন তৃণমূল মন্ত্রী-বিধায়ক শুভেন্দুর বাবা শিশির অধিকারী অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
তবে শুভেন্দুর এই জার্সি বদল মেনে নিতে পারেননি অনেকেই। যেমন নন্দীগ্রামের ‘শহিদ মাতা’ তথা পাঁশকুড়া পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক ফিরোজা বিবি রীতিমতো ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁর কথায়, “নন্দীগ্রামের সেন্টিমেন্ট নিয়ে উনি খেলা করলেন। সেটা ভাল কাজ করলেন না। নন্দীগ্রামবাসী হিসেবে কেউ সেটা ভালভাবে দেখবেন না।” মেদিনীপুরের সভায় শুভেন্দু এদিন অমিত শাহর সঙ্গে তাঁর পুরনো যোগাযোগের কথা তুলে ধরেন। শহিদ-মাতার প্রশ্ন, “তাহলে ওঁর এতদিনের অভিনয়ের মানে কী? নন্দীগ্রাম-কাণ্ডের জেরেই আজ পর্যন্ত আমার পরিবারের সকলেই প্রায় নানা অসুখ-বিসুখে ভুগছেন। সেসব দিন আমরা ভুলিনি। তিনি এতটাই আমাদের চোখের নিচে নেমে যাবেন তা কখনওই ভাবতে পারিনি।”
এসব প্রতিক্রিয়াকে পিছনে ফেলেই অনেকটা এগিয়ে গিয়েছেন শুভেন্দু। মেদিনীপুরের কলেজ মাঠে মেগা শোয়ের পর অনেক রাত পর্যন্ত বিজেপি কার্যকর্তা সঙ্গে বৈঠক সারেন তিনি। দলীয় সূত্রে খবর, শুভেন্দুকে দ্রুত দিল্লিতে যেতে বলেছেন অমিত শাহ। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা ভোট নিয়ে আলোচনা হতে পারে। দিল্লি সফরের সময় মোদির সঙ্গে শুভেন্দু দেখা করতে পারেন বলেও সূত্রের খবর। বৈঠক শেষে শুভেন্দু বলেন, “আমি ইনফ্যান্টের বাচ্চা। এই মিটিং থেকে অনেক কিছু শিখলাম।” রাজ্য বিজেপিতে আগামীদিনে শুভেন্দুকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে খবর।
সৌজন্য :- ছবি ও খবর সংবাদ প্রতিদিন