কেরলের স্থানীয় নির্বাচনে বামেরা কংগ্রেসের থেকে এগিয়ে , ধারেকাছে নেই বিজেপি

Spread the love

নিউজ ডেস্ক:-  কেরালায় চলছে ভোট গণনা। আগামী বছরের রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বসূরী হিসাবে দেখা যাচ্ছে এই নির্বাচনের ফল।সিপিএম-নেতৃত্বাধীন এলডিএফ, কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউডিএফ এবং বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ, তিনটি রাজনৈতিক ফ্রন্টের জন্য তাদের শক্তি পরীক্ষা করার সুযোগ হবে এই ফলাফল।

৮, ১০ ও ১৪ ডিসেম্বর তিন দফায় কেরালার ৯৪১ টি গ্রাম পঞ্চায়েতে ১৫,৯৬২ টি ওয়ার্ড, ১৫২ টি ব্লক পঞ্চায়েতে ২০৮০ ওয়ার্ড, ১৪ টি জেলা পঞ্চায়েতে ৩৩১ টি বিভাগ, ৮৬ টি পৌরসভার ৩০৭৮ টি ওয়ার্ড এবং ছয়টি পৌরসভা কর্পোরেশনের ৪১৪ ওয়ার্ডে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

২০১৫ সালের নির্বাচনে, সিপিএম-নেতৃত্বাধীন এলডিএফ ৯৪১ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৫৫১, ৮৬ টি পৌরসভার মধ্যে ৪২, ১৪ জেলা পঞ্চায়েতের ৭, ১৫২ ব্লক পঞ্চায়েতের ৮৮ টি এবং ৬ টি কর্পোরেশনের মধ্যে ৪টিতে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বড় জয়লাভ করে। ইউডিএফ ৩৬২ টি পঞ্চায়েত, ৭টি জেলা পঞ্চায়েত, ২ টি কর্পোরেশন, ৪০ টি পৌরসভা এবং ৬৩ টি ব্লক পঞ্চায়েত জিততে পারে। বিজেপি কেবল ১৪ টি পঞ্চায়েত এবং ১ টি পৌরসভায় ক্ষমতায় আসতে পারে।

 

কেরলে বাম-কংগ্রেসের ইঁদুর দৌড় অব্যাহত। স্থানীয় নির্বাচনের  ফলাফলের ট্রেন্ডে আরও একবার এই দুই শক্তির প্রাধান্য দেখা গেল। আগের তুলনায় আসন সামান্য বাড়লেও নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ শক্তি হিসেবে প্রমাণ করতে ব্যর্থ হল বিজেপি। এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন স্তরের স্থানীয় নির্বাচনের যা ফলাফল তাতে শাসক এলডিএফ, প্রধান বিরোধী ইউডিএফের থেকে খানিকটা এগিয়ে রয়েছে। অনেক পিছিয়ে তৃতীয় হচ্ছে বিজেপি।

নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী দুপুর ১২টা ২০ মিনিট পর্যন্ত কেরলের যে ৯৪১টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ট্রেন্ড প্রকাশ্যে এসেছে তাতে ৫০১টিতে এগিয়ে বা জয়ী হয়েছে সিপিএম নেতৃত্বাধীন লেফট ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট (LDF)। অনেকটা পিছিয়ে ৩৭৬টি পঞ্চায়েতে এগিয়ে বা জয়ী কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট। অন্যান্যরা পেয়েছে ২৯টি। বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ’র (NDA) দখলে মাত্র ২৫টি পঞ্চায়েত। একইভাবে ব্লক পঞ্চায়েতে ১৫২টি আসনের মধ্যে শাসক এলডিএফ এগিয়ে ১১০ আসনে। দ্বিতীয় স্থানে ইউডিএফ (UDF) এগিয়ে ৪১ আসনে। ১টি আসনে এগিয়ে অন্যান্যরা। বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ এখানে কোনও আসনে এগিয়ে নেই। ১৪টি জেলা পঞ্চায়েতের মধ্যে বামেরা এগিয়ে ১০টিতে। ইউডিএফ মাত্র ৪টিতে। জেলা পঞ্চায়েতের এই ফলাফল বেশ চিন্তায় রাখবে কংগ্রেসকে।

গ্রামাঞ্চলের থেকে শহরাঞ্চলে অবশ্য লড়াইটা আরেকটু কঠিন। ৮৬টি পুরসভার মধ্যে ৩৯টিতে এই মুহূর্তে এগিয়ে বামেরা। কংগ্রেস (Congress) জোট এগিয়ে ৪১টিতে। অন্যান্যরা ৪টিতে। বিজেপি মাত্র ২টিতে। অন্যদিকে ৬টি পুরনিগমের মধ্যে ৪টিতে এগিয়ে এলডিএফ। ইউডিএফ মাত্র দুটিতে। বিজেপি তথা এনডিএ কোথাও এগিয়ে নেই। তবে শশী থারুরের ঘরের মাঠ তিরুবনন্তপুরমে কংগ্রেসকে সরিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে তারা। নির্বাচনে এটাই বিজেপির সবচেয়ে বড় সাফল্য। তবে, সার্বিকভাবে এই ফলাফল হতাশ করবে গেরুয়া শিবিরকে।

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.