মুর্শিদাবদের খড়গ্রামে দুই ভাইয়ের বাজ পড়ে মর্মান্তিক মৃত্যু এলাকায় শোকের ছায়া

Spread the love

নিজস্ব সংবাদদাতা,খড়গ্রাম মুর্শিদাবাদ:- মুর্শিদাবাদ জেলার খড়গ্রাম থানার শংকরপুর গ্রামে শুক্রবার বিকেলে বজ্রাঘাতে মৃত হয় দুই ভাইয়ের। বিকেলে মাছ ধরতে যায় বিলে কিন্তু

হঠাৎ বিদ্যুৎ চমকায় মবং বাজ পড়ে মৃত্যু হয় দুই ভাইয়ের নাম আব্বাস শেখ ২০,নেকবাস শেখ১৩ ।
কিন্তু কেই খবর পাই নাই ,অবশেষে
বাড়ির লোকে অনেকক্ষণ খোঁজাখুঁজির পরে তারা রাত্রি ৯ দিকে বিলে গিয়ে দেখতে পাই মৃতদেহ পড়ে আছে।

খড়গ্রাম থানার খবর দিলে পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ নিয়ে আসে
এই ঘটনায় এলাকায় নেমেছে শোকের ছায়া।
মাছ ধরতে গিয়ে বাজ পড়ে মৃত্যু হল দুই ভাইয়ের। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের খড়্গ্রাম থানার শঙ্করপুর গ্রামে। জানা গিয়েছে, আব্বাস সেখ ও নেকবাস সেখ নামে দুই ভাই গ্রামের পাশের এক বিলে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই আকাশে মেঘ ওঠে এবং বিদ্যুৎ চমকাতে শুরু করে। ঠিক সেই সময়ই বাজ পড়ে মৃত্যু হয় ওই দুই ভাইয়ের।

গ্রামবাসী উলফাত সেখ জানান, ওই দুই ভাই সন্ধে হয়ে গেলেও বাড়ি না ফেরায় তারা খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। গ্রামের চায়ের দোকানে খোঁজ চালানো হয়। বন্ধুবান্ধবদের বাড়িতে গিয়েও দেখা হয়। কিন্তু কোথাও তাদেরকে পাওয়া যায়নি। এরপর গ্রামের লোকেরা মাঠের দিকে যায় এবং বিলের ধারে গামছা ও লুঙ্গি দেখতে পান। আশপাশে খোঁজাখুঁজি শুরু করলে প্রায় পাঁচ ফুট দূরত্বে দুই ভাইয়ের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখতে যায়। এরপর খড়্গ্রাম থানার পুলিশকে খবর দেওয়া হলে তারা মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে খড়্গ্রাম থানায় নিয়ে যায়। শনিবার ওই দুই ভাইয়ের মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য কান্দি মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

মৃত আব্বাস সেখ ও নেকবাস সেখের বয়স যথাক্রমে ২০ ও ১৩ বছর। নেকবাস বিবাহিত হলেও আব্বাস সেখ স্কুল পড়ুয়া। এর পাশাপাশি শুক্রবার সন্ধ্যায় বাজ পড়ে আরও একজনের মৃত্যু হয় বড়ঞা থানার গাফুলেশ্বর গ্রামে। জানা যায়, বিশ্বনাথ দাস নামে বছর চল্লিশের এক ব্যক্তি চাষের কাজ সেরে যখন বাড়ি ফিরছিলেন,  ঠিক তখনই বাজ পড়ে তার মৃত্যু হয়।

এলাকার বাসিন্দা আমিরুল সেখ বলেন সারা বিকেল থেকে সন্ধ্যে পর্যন্ত কোন খোঁজ মেলেনি অবশেষে রাত্রি নয় টা র সময় খোজ মেলে ।এই ঘটনায় গোটা গ্রামে নেমেছে শোকের ছায়া।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.