ওয়েব ডেস্ক :- নদীর পাড়ে পড়ে আছে একের পর এক মৃতদেহ, তার মধ্যে কোনও কোনও অর্ধদগ্ধ। আর সেগুলো খুবলে খুবলে খাচ্ছে রাস্তার কুকুর! এমনই ভয়ানক দৃশ্যের নাকি সাক্ষী থাকলো উত্তরাখণ্ডের স্থানীয় বাসিন্দারা। উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশিতে ভাগীরথীর নদীর কেদার ঘাটে এমনই ভয়াবহ দৃশ্য তাদের চোখে পড়েছে বলে জানিয়েছেন সেখানকার স্থানীয়রা।
তারা জানিয়েছেন, গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে নদীতে জলস্তর বেড়ে যায়, আর তার জেরেই নদীতে ভাসমান মৃতদেহগুলো এসে যায় ডাঙায়। আর তারই কুকুরদের তা খুবলে খাওয়ার ভয়ানক দৃশ্য। স্থানীয়দের আশঙ্কা, মৃতদেহগুলি আসলে কোভিড রোগীদের। এর আগে উত্তরপ্রদেশ ও বিহারে নদীর জলে একাধিক মৃতদেহ ভেসে যাওয়ার ছবি দেখা গিয়েছে। উত্তরপ্রদেশে গঙ্গার ধারে কার্যত গণকবরের ছবি দেখে শিউরে উঠেছিল গোটা দেশ। কয়েকদিন আগেই ব্রিজ থেকে নদীতে কোভিডে মৃতের দেহ নদীতে ছুঁড়ে ফেলার ভিডিও সামনে এসেছিল। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে লন্ডভন্ড ভারতে এবার সামনে এল আরও এক ভয়ঙ্কর ছবি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্থানীয় বাসিন্দা সংবাদসংস্থা এএনআইকে বলেছেন, গতকাল নদীর পাড়ে ছবি আঁকতে এসেছিলাম। তখনই দেখতে পাই পাড়ে পড়ে থাকা আধপোড়া দেহগুলোকে রাস্তার কুকুরগুলো খুবলে খুবলে খাচ্ছে। স্থানীয় কর্পোরেশনের দ্রুত বিষয়টি নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। দৃশ্যটা যেন ভুলতে পারছি না। মানবিকতার যেন মৃত্যু হয়েছে। অন্য এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেছেন, ‘আমাদের আশঙ্কা এগুলো কোভিড রোগীদের মৃতদেহ। প্রশাসনের কাছে অনুরোধ দয়া করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিন। এই দেহগুলোর সম্মানজনক সৎকারের বন্দোবস্ত করা হোক।
স্থানীয়দের থেকে অভিযোগ পাওয়ার পরই স্থানীয় মিউনিপ্যালিটির পক্ষ থেকে কেদার ঘাটে লোক নিযুক্ত করা হয়েছে, যাতে যদি নদীর পাড়ে কোনওএ মৃতদেহ দেখা যায়, তা উদ্ধার করে প্রয়োজনীয় নিয়মনীতি মেনে যাতে সেগুলিকে সৎকার করা হয়। মিউনিপ্যালিটির প্রেসিডেন্ট রমেশ সেমওয়াল বলেছেন, গত কয়েকদিন ধরেই আমাদের এলাকায় কোভিডের কারণে মৃত্যুর হার বেশ কিচুটা বেড়ে গিয়েছে। খবর পেয়েছি আধপোড় কিছু দেহ উদ্ধার হয়েছে কেদারঘাট থেকে। সেখানে ইতিমধ্যে লোক নিয়োগ করা হয়েছে, যাতে মৃতদেহগুলিকে ঠিকভাবে সৎকার করা হয়।
সূত্র: এবিপি গ্রুপ