অয়ন বাংলা ,নিউজ ডেস্ক:- কথায় আছে কারে দিয়েছে রাজার পার্ট৷ এখানে একটু শুধরে নিতে হবে ওটা রাজা নয় রানি হবে৷ মানে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী হিসাবে নির্মলা সীতারমণের অপদার্থতায় শেয়ার বাজারে উবে গেছে বিনিয়োগকারীদের লগ্নি করা সাড়ে ১২ লক্ষ কোটি টাকার সম্পদ৷ ৩০ মে থেকে ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভারতীয় অর্থনীতি ক্রমশ পিছনের দিকে হাঁটছে৷ সেনসেক্স পড়েছে হুড়মুড়িয়ে৷ ৫.৯৬ শতাংশ। পয়েন্টের নিরিখে ২ হাজার ৩৫৭। গত ৩০ মে থেকে ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের (এনএসই) নিফটি সূচক পড়েছে অন্তত ৫০। শতাংশের হিসেবে ৭.২৩। বা ৮৫৮ পয়েন্ট।
অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা জানান, দেশের অর্থনীতির এই মন্দার সময় যা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ছিল, সেই বিদেশি বিনিয়োগে ঘাটতি দেখা দেওয়ার জন্য দায় যদি কারও থাকে, তা হলে তা কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের। দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় আসার পর তাঁর প্রথম বাজেটে বিদেশি বিনিয়োগের উপর করের বোঝা খুব বেশি বাড়িয়ে দিলেন নির্মলা। ফলে, ভারতের শেয়ার বাজারে বিদেশি বিনিয়োগকারীরাই সবচেয়ে বেশি করে শেয়ার বেচেছেন মোদী সরকার দ্বিতীয় বার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর। ন্যাশনাল সিকিওরিটিজ ডিপোজিটরি লিমিটেড (এনএসডিএল)-এর তথ্য জানাচ্ছে, গত ৩০ মে থেকে ৩১ অগস্ট পর্যন্ত ভারতের বাজারে তাঁদের ২৮ হাজার ২৬০ কোটি ৫০ লক্ষ টাকার শেয়ার বেচে দিয়েছেন বিদেশি বিনিয়োগকারীরা।
শুধু তাই নয়, গত তিন মাসে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কগুলির শেয়ার সূচক পড়েছে সবচেয়ে বেশি। ২৬.১৩ শতাংশ। তার তুলনায় বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলির শেয়ারের সূচক পড়েছে কম হারে। ১২.৪৮ শতাংশ। ধাতু, সংবাদমাধ্যম, গাড়ি ও ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলির শেয়ারের সূচকের রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কগুলির তুলনায় কম পড়েছে। দেশের অর্থনীতির প্রাণ ধাতু শিল্পের সূচকও পড়েছে প্রায় ২০ শতাংশ। গাড়ি ছাড়া বাড়ি বাজারেও চলছে গভীর মন্দা৷ স্বল্প মূল্যের বাড়ি পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে না আশানরূপ৷ দেশে নতুন করে কোনও শিল্প হচ্ছে না৷ অন্যদিকে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির বদলে লাখ লাখ লোক প্রতিদিন বেকার হয়ে পড়েচন৷ সব মিলিয়ে ভারতের অর্থনীতি মোটেও ভাল নেই৷
সৌজন্য :- মহানগর ডেস্ক