ওয়েবডেস্ক: একদিন অর্থনীতি অন্যদিকে বেকারত্ব, দুই নিয়ে দেশের টালমাটাল অবস্থা। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কোনও পদক্ষেপ নেওয়া না হলেও দেশের মানুষের অন্দরে এই নিয়ে শতাধিক প্রশ্ন ওঠা শুরু হয়ে গিয়েছে। যদিও এই বিষয় নিয়ে আমল দিতেই নারাজ বিজেপি সরকার। এরই মধ্যে উঠে এল আরও এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। গত মাস অর্থাৎ অক্টোবরে দেশের বেকারত্বের হার পৌঁছেছে ৮.৫%, যা গত তিন বছরের মধ্যে সর্বাধিক।
‘সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি’ যে তথ্য প্রকাশ করেছে তাতে দেখা গিয়েছে, ২০১৬ সালের অগাস্ট মাসের পর গত অক্টোবর মাসেই বেকারত্বের হার সবচেয়ে বেশি হয়েছে ভারতে। লোকসভা নির্বাচনের আগেই এক তথ্য সামনে এসেছিল যেখানে উল্লেখ করা হয়েছিল দেশের বেকারত্বের হার বিগত ৪৫ বছরে সবচেয়ে খারাপ। সেই খবর নিয়ে বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছিল কংগ্রেস সহ সমস্ত বিরোধী দল। কিন্তু নির্বাচনে তার যে কোনও প্রভাব পড়েনি তা আলাদা করে বলতে হয় না। পরবর্তী সময়েও দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা এবং বেকারত্ব নিয়ে বিভিন্ন তথ্যে সরকারের মুখ পুড়েছে। কিন্তু তাতেও কোনও হেলদোল দেখায়নি নয়াদিল্লি।
অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার অবনতির কারণেই বেকারত্বের ওপর প্রভাব পড়ছে। শুধু সংগঠিত নয়, অসংগঠিত কাজের ক্ষেত্রেও মানুষের সমস্যা দিনদিন বেড়ে চলেছে। যেহেতু, অর্থনীতি নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে এখনও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, তাই বেকারত্ব নিয়েও সমস্যার কোনও সমাধান এখন হওয়া সম্ভব নয় বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। এর আগে অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণকে প্রশ্ন করা হলে তিনি নানা ‘অজুহাত’ দিয়ে গিয়েছেন। নতুন প্রজন্ম এবং ওলা-উবেরের মতো সংস্থার ওপর দোষ চাপিয়েছেন তিনি। এখন বেকারত্ব নিয়ে সরকার পক্ষ কী যুক্তি খাঁড়া করে তারই অপেক্ষা।