ক্রমশ স্বাভাবিকত্ব হারাচ্ছে আদিবাসীদের নিজস্বতা, আজ শিশু দিবসে কৃষ্ণনগর দিশারী পক্ষ থেকে আদিবাসী শিশুদের মধ্যে ফিরিয়ে নিয়ে আসলো শৈশব
সমীর দাস :- বেঁচনা টঙ্কা”
ওঁরাও সম্প্রদায়ের আদিবাসী মানুষরা খেলার মাঠকে বেঁচনা টঙ্কা বলে।নিয়ত হারিয়ে যাচ্ছে বাংলার আদিবাসী সংস্কৃতি আর আপনারা জানেন দিশারী পরিবারের সমস্ত কর্মকাণ্ড এই আদিবাসী সমাজ কে ঘিরে। প্রতিবছর ঠান্ডা আসতেই তারা একটা দিন বেছে নেয় লুপ্তপ্রায় আদিবাসী খেলা (ডোঙ্গা রেস, তীর ধনুক ছোড়া, গাছে ওঠা, সাঁতার ইত্যাদি)গুলোকে রক্ষা করতে । আজ 14 ই নভেম্বর অর্থাৎ শিশু দিবস কে কেন্দ্র করে এক প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে নদীয়ার আসাননগর চাঁদপুর আদিবাসী গ্রামে।
আদিবাসী ভাষা ,সংস্কৃতি এমনকি জীবন শৈলীও ব্যবহৃত হয় সিনেমা থিয়েটার নাটকে, তা থেকে বাণিজ্যিক সফলতাও আসে তাদের! কিন্তু যাদেরকে ঘিরে এত কিছু তারা থেকে যায় অন্ধকারে। অথচ তাদের দৈহিক শক্তি, বিচক্ষণতার ক্ষমতা, সহনশীলতা সবকিছু থেকে শিক্ষা নিতে পারি আমরা। প্রাকৃতির থেকে ক্রমশ দূরে চলে যাচ্ছি আমরা! তাই বিভিন্ন রোগের শিকার হচ্ছি! বাড়ছে মানসিক অবসাদ! কিন্তু ওঁরা আছে আনন্দে ওদের মতো করে। আমরা শুধু তাদের স্বাভাবিক জীবনে আধুনিকতা লাগতে দেব না’, বহন করে চলতে সহযোগিতা করব ওদের কৃষ্টি সংস্কৃতিক ক্রীড়া জীবনশৈলী সবকিছু … এমনটাই জানালেন দিশারী পরিবারের পক্ষ থেকে।