পড়শিকথার উদ্যোগে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন এবং আলোচনা সভা
সামসুল হালসানা ,বহরমপুর ,মুর্শিদাবাদ: -গতকাল অর্থাৎ ৮ই মার্চ, শুক্রবার বেলা ২.৩০ ঘটিকায় পেনশনার্স অ্যাসোসিয়েশন সভাগৃহে ,পরিবেশ প্রতিবেশ ও সাহিত্য সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা পড়শি কথার উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল এক মনোজ্ঞ আলোচনা সভা এবং গুণীজন সর্ম্বধনা। মূলত আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছিল। মুখ্য আলোচক ছিলেন ইমরান মাহফুজ (কবি গবেষক ও বাংলাদেশের দৈনিক ডেইলি স্টার এর সাহিত্য বিভাগের সম্পাদক)। পড়শি কথার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে কিছু কথা বলেন সংস্থার সম্পাদক বিশিষ্ট সাংবাদিক অনল আবেদিন মহাশয়।
পড়শি কথার পক্ষ থেকে কবি ইমরান মাহফুজকে স্মারকও মানপত্র দিয়ে সম্মাননা জানানো হয়। মানপত্র পাঠ করেন অধ্যাপক কবি সমিত মন্ডল। মানপত্র তুলেদেন বিশিষ্ট মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এ হাসান এবং স্মারক তুলেদেন বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক আলিমুজ্জামান এবং পশ্চিমবঙ্গ স্বাধিকার রক্ষা মঞ্চের সভাপতি মীর হাসনাত আলী।
প্রধান বক্তা ইমরান মাহাফুজ মূলত আলোকপাত করেন একুশের চেতনা ও ভাষা আন্দোলনে নারী সমাজের অবদান নিয়ে। পিতৃতান্ত্রিক সমাজের ক্রমবর্ধমান বাধা পেরিয়ে নারী এগিয়ে চলেছে সামনের দিকে। নারী তার নিজস্ব অন্তর্নিহিত শক্তি দিয়ে নিজ গুনে সমাজকে ভরিয়ে চলেছে তাদের কৃতিত্বে । বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলনে ঘরে বাইরে নারীর ভূমিকা নিয়ে আলোকপাত করেন বক্তা। এছাড়া তিনি আপন ঘরে নারীদের সম্মান করার ও মর্যাদা দেওয়ার কথা বেশি করে বলেন। নিজের ঘরের নারীদের যদি প্রকৃত মর্যাদা ও সম্মান রক্ষা করা হয় তাহলেই বিশ্ব নারী দিবসের তাৎপর্য সঠিকভাবে পালন করা হবে। নারীর কোমল মনে কখনো আঘাত করা উচিত নয় এবং এই আঘাত যদি আমরা না থামাতে পারি তাহলে প্রত্যাঘাত হিসাবে মানব সমাজের তা ফিরে আসবে এবং তাতে সমাজের চরম অকল্যাণ হবে। এটাই ছিল বক্তার বক্তব্যের মূল সুর।
স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন হাসি খাতুন। এছাড়া “গোঁফ চুরি “কবিতাটি সাবলীল ভাবে আবৃত্তি করেন শিশু শিল্পী সোহা ফারহিন। নারী দিবস উপলক্ষে শেষে কিছু কথা তুলে ধরেন লালগোলা কলেজের অধ্যাপিকা নাফিসা খাতুন মহাশয়া।
উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশন করেন শিক্ষিকা রেবেকা সুলতানা। সভার শেষে কিছু প্রশ্নোত্তর পর্ব চলে। সভার সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন, ঐতিহাসিক প্রাবন্ধিক হাসিবুর রহমান। সভার সভাপতিত্বকরেন লেখক এবং গবেষক আলিমুজ্জামান।