মৃত্যুঞ্জয় সরদার :- আর মাত্র একটা দিনের অপেক্ষায় বাংলায় নতুন মুখ অনেকেই মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পাচ্ছে। দক্ষিণ ২8 পরগনা জেলার বহুদিনের নামকরা নেতা ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক সওকাত মোল্লা নতুন মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পেতে চলেছেন।সোমবারই শপথ নিতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যরা। বেলা ১১টা নাগাদ বিধানসভাতেই রাজ্যের বিধানসভায় নতুন মন্ত্রীরা শপথ নেবেন। বিকাল ৩টেয় নব নির্বাচিত সরকারের মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠক রয়েছে। দক্ষিণ 24 পরগনার সাধারণ মানুষ যেভাবে উন্নয়নের জোয়ার দেখেছে ,তাতে সওকাত মোল্লা মন্ত্রী হোক তেমনই চাইছেন ক্যানিং 2 নম্বর ব্লকের সাধারণ মানুষেরা।
হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের। এ বিষয়ে উল্লেখ করা প্রয়োজন, এ বছর থেকে যেহেতু দুয়ারে রেশন পৌঁছবে, ফলে এই দফতর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তা নিয়ে এখনও কাটাছেঁড়া চলছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে প্রত্যেকটি জেলা থেকে অন্তত প্রতিনিধি যাতে থাকে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনাতে তৃণমূল কংগ্রেস ৩১টি আসনের মধ্যে ৩০ টি আসন পেয়েছে, ফলে সেখান থেকেও নতুন কয়েকটি মুখ আসতে পারে। ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক সওকত মোল্লা মন্ত্রী হতে পারেন। বিষ্ণুপুরের বিধায়ক দিলীপ মণ্ডলকেও আনা হতে পারে মন্ত্রিসভায়। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী হতে পারে মেখলিগঞ্জ থেকে নির্বাচিত পরেশচন্দ্র অধিকারী, জলপাইগুড়ি থেকে মন্ত্রী হতে পারে প্রদীপ বর্মা, উত্তর দিনাজপুর থেকে মন্ত্রী হতে পারেন গোলাম রব্বানি, দক্ষিণ দিনাজপুর থেকে মন্ত্রী হতে পারেন বিপ্লব মিত্র, হুগলি থেকে মন্ত্রী হতে পারেন স্নেহাশিস চক্রবর্তী।
এবছর ঢেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থন করেছেন মুর্শিদাবাদ ও মালদার মানুষ। সেক্ষেত্রে এই দুটি জেলা থেকে চার জন মন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মালদা থেকে সাবিত্রি মিত্র ও সাবিনা ইয়াসমিন ও আব্দুল গণি সাহেব এবং মুর্শিদাবাদ থেকে সুব্রত সাহা ও হূমায়ুন কবীর ,মহঃ আলি ও অপূর্ব সরকার এদের মধ্যে থেকে মন্ত্রী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
স্বরাষ্ট্র, স্বাস্থ্য ও অর্থমন্ত্রী হতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই। অমিত মিত্রকে অর্থ দফতরের উপদেষ্টা মণ্ডলীর মাথা করা হতে পারে। কিংবা যোজনা কমিশনের ধাচে কোনও প্রতিষ্ঠান তৈরি করা হতে পারে। সেখানে অমিত মিত্রকে আনা হতে পারে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে এই দফতরের দায়িত্ব সামলাবেন। পাশাপাশি এক জন প্রতিমন্ত্রী রাখা হবে। নতুন, পুরনো মিলেই এই মন্ত্রিসভা তৈরি করা হবে। এমনকি দেখা যাবে, এমন অনেক মুখকেই, যাঁরা প্রথমবার বিধানসভায় জয়ী হয়ে এসেছেন। সেরকম মুখ হিসাবে সুশান্ত মাহাতো, বীরবাহা হাঁসদাকে দেখা যেতে পারে। জুন মালিয়া কিংবা রাজ চক্রবর্তীর মধ্যে এক জনকে দেখা যেতে পারে মন্ত্রিসভায়। থাকবেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়।
পূর্ব মেদিনীপুর থেকে অধিকারী পরিবারের প্রধান বিরোধী বলে যিনি পরিচিত, সেই অখিল গিরির মন্ত্রিসভায় ঠাঁই পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি উত্তর ২৪ পরগনা থেকে চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, পরিবহণ মন্ত্রী হিসাবে মদন মিত্র ও শিক্ষামন্ত্রী হিসাবে ব্রাত্য বসুর নাম উল্লেখ থাকতে পারে। উল্লেখ্য, মদন মিত্রের ক্ষেত্রে অবশ্যই পরিবহণ দফতর নিয়ে ভাবনা চিন্তা হচ্ছে। তবে মদন মিত্রের শারীরিক যে পরিস্থিতি, সেটা কতটা সঙ্গ দেবে, তা নিয়েও তৃণমূল অন্দরে জল্পনা রয়েছে।