আন্তজার্তিক ডেস্ক,অয়ন বাংলা:-গোটা বিশ্ব জুড়ে আজ ইসলাম ধর্মের গ্রহণ যোগ্যতা দিন দিন বেড়েই চলেছে ,শয়ে শয়ে লোক ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে চলেছে ,প্রতি বছর কয়েক হাজার ব্রিটিশ নাগরিক ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। তবে ঠিক কত জন ব্রিটিশ নাগরিক এ পর্যন্ত ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন তার সঠিক হিসেব না থাকলেও ২০১১ সালে করা এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী এ পর্যন্ত ১০০,০০০ জন ব্রিটিশ নাগরিক ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। এদের মধ্যে অন্তত ৫,০০০ জন গত বছর ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন, যাদের অধিকাংশই ব্রিটিশ নারী এবং শ্বেতাঙ্গ ব্রিটিশ নাগরিক।ধর্ম সম্পর্কে তাদের দৃষ্টিভঙ্গি যাই হোক না কেন তারা নিজেদের নতুন এই ধর্ম নিয়ে বেশ কৌতূহলী। ২০১৩ সালে ইংল্যান্ডের কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় ব্রিটিশ নারীদের ইসলাম গ্রহণ সম্পর্কে একটি গবেষণা প্রকাশ করে যেটি অন্তত ১৫০,০০০ বারেরও বেশী ডাউনলোড করা হয়েছে। এসব ধর্মান্তর সাধারণত একটি বা দুটো কারণে জনসাধারণের দৃষ্টি আকর্ষণের মূলে কাজ করেছে। আর তা হচ্ছে- দেশটির বেশ কয়েকজন সেলিব্রেটি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন এবং তাদের মধ্য অন্যতম উদাহরণ হচ্ছে প্রাক্তন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের শ্যালিকার ইসলাম গ্রহণ। ইংল্যান্ডের অধিকাংশ ইসলাম গ্রহণকারী মানুষ বিখ্যাত কেউ নয় এবং তারা কোনো সংঘাতে জড়িত হতে চান না। তারা আসলে এমন একটি যুগের মানুষ যারা ভ্রমণ, সামাজিক জীবন, ইন্টারনেট ব্রাউজিং ইত্যাদির মাধ্যমে বিভিন্ন সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে পারেন এবং পরবর্তীতে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।চলতি মাসে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ গবেষণার দ্বিতীয় পাঠ প্রকাশ করেছে। এই প্রকল্পের আওতায় অন্তত ৫০ জন পুরুষের ইসলাম ধর্ম গ্রহণের অভিজ্ঞতার বিষয়ে অনুসন্ধান করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ইংল্যান্ডের নাগরিকদের মধ্যে কেন ইসলাম গ্রহণের প্রবণতা বেড়েছে তা জানা যাচ্ছে।অধিকাংশ তরুণ ইসলাম গ্রহণ করেন তাদের মুসলিম সহপাঠীর নিকট থেকে আস্থার বিষয়টি অবলোকন করার পরে। তারা একই সাথে ইসলামের সংস্কৃতি, স্থাপত্য, ক্যালিগ্রাফিসহ মুসলিমদের সালাতের আহ্বানের মধুর সূরের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে ইসলাম গ্রহণ করেন। অন্যদিকে বেশিরভাগ বৃদ্ধ নাগরিক হঠাৎ করেই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।
এদের কেউ কেউ অবশ্য ইসলামি সংস্কৃতি দ্বারা প্রভাবিত হয়েও ইসলাম গ্রহণ করেন বলে জানা যায়।ইংল্যান্ডের সাসেক্স নামক রাজ্যের সাসেক্স গ্রামের একমাত্র হিজাব পরিধানকারী মুসলিম নারী জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে তিনি মধ্য প্রাচ্যে ভ্রমণ করে সেখানকার মানুষের জীবনের ‘প্রশান্তি এবং স্থির’ অবস্থা পর্যবেক্ষণ করার পর ইসলাম গ্রহণ করতে উদ্বুদ্ধ হয়েছিলেন। তিনি বলেন, ‘তাদের ইসলাম চর্চার দিকে আমি দৃষ্টিপাত করি। তাদের সিয়াম সাধনা, বাধ্যতামূলক দান করা, শালীনতা ইত্যাদি সম্পর্কে আমি গভীরভাবে চিন্তা করি। আমি তাদের ব্যক্তিগত স্বাধীনতার দিকে না তাকিয়ে আমি দেখতে পাই যে তারা আসলে আত্ম নিয়ন্ত্রণের পথ খুঁজে পায়।’মানবতার সমাধান সুষ্ঠ অর্থনীতি সুস্থ সামাজিক ব্যাবস্থা মনের প্রশান্তি লাভ ক্রমশ মানুষকে ইসলামের দিকে ধাবিত করে চলেছে।