যে কবিতা স্বপ্নে পাওয়া//
নাজমুস সায়াদাত
ঘুম ভাঙতেই দেখি
হার্টবিটের কম্পন ম্যারাথন দৌড়,
আর দড়দড়িয়ে আষাঢ়ী ঘাম,
হুড়মুড়িয়ে উঠে বসে
দড়ির খাটিয়ার নিচে সযত্নে রাখা
পৌনেদুলিটার পানীয়জল নিমেষে খালাস,
মোবাইলের স্ক্রিনলাইটা জ্বেলে
দেখি রাত দুইটা একত্রিশ মিনিট,
তারপর ধ্যানভঙ্গ দেহে ফিরে
সাড়া পাই-
ওওও এটা আসলে স্বপ্ন ছিলো।
আহঃ তারপর একটু স্বস্তি, একটু শান্তি…
– স্বপ্নবলয় –
আমাদের স্থানীয় গ্রাম্যবাজার অজানাপুর হাজারো জনতা হঠাৎ উন্মত্ত,
গুঞ্জন করে উঠলো
প্রায় সবারই মন জিলিপিতে
বৈশাখের সৃষ্ঠিছাড়া দামাল কালো মেঘ,
এইমাত্র যারা ছিলো একই রজ্জুতে আবদ্ধ
ভাই ভাই আর ভাইচারার সুগন্ধে বদ্ধ,
পলক পড়ার অবসরেই
তারা দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে দ্বিখণ্ডিত,
গেরুয়া বনাম সবুজের দ্বন্দ্ব…
হাঃ কপাল
অমানবিক লাঠি
অশান্ত রক্তরঞ্জিত তলোয়ার
পেটো বোমার নির্দয় কলরব!
মনুষ্যত্বের বোবা কান্না আর
হিংসার বলি অসহায় লাস!
সময়,
সময়কে কাজে লাগিয়ে
আমি জীবন ভালোবাসার উজান গাঙে
উড়োজাহাজ গতিতে ঘরমুখী দৌড়,
ঠিক আমার শূন্য কুঠিরে ঢোকার
একশ’গজ আগে,
অন্য এক স্বসস্ত্র উপদল,
জয় শ্রীরাম-জয় শ্রীরাম
ঝোড়োমাতালি আওয়াজ,
নিশানা আমাকেই দেখে
আমার ঘরমুখো দৌড়ে বাজলো ইউটার্ন হর্ণ,
আমি আবারও ঐ
ভয়ংকর
পাথুরে প্রাণ
মরুভূমি প্রায়
বিষাক্ত দাবানলে পোড়া
জনজোয়ারের
গ্রাম্যবাজার অভিমুখী লালমাটি পথে,
ক্লান্তিহীন যৌবনি দৌড়…
প্রসঙ্গ অযৌক্তিক জীবন পিরীতি
অথবা
রক্তকেতন যন্ত্রণাই বর্তমান ইতিহাস…
Awesome