অয়ন বাংলা নিউজ ,নিউজ ডেস্ক:- কে যেন জাত খোঁজে ,জাত পাত নিয়ে রাজনীতি করে । চারিদিকে যখন বিভেদের ডাক, একে-অপরকে দোষারোপের পরিয়তবেশ, সেই সময় এই ঘটনা যেন একটা টাটকা বাতাসের মতো। দান, তাও কি কখনও জাত-পাত-ধর্ম দেখে হয় আদৌ? না, হতে পারে না বোধহয়। সেই শিক্ষাটাই যেন দিলেন নদিয়ার পূর্ণিমা বন্দ্যোপাধ্যায়।
৭৯ বছর বয়স। সরকারি চাকরি করতেন। অবসর নিয়েছেন ২০০০ সালে। আগের নিজের সঞ্চয়ের টাকা দান করেছিলেন ভারত সেবাশ্রম সংঘকে। জীবনের একটা লম্বা সময় কাটিয়েছেন ভাড়া বাড়িতে। সেই তিনিই কি না পাঁচ কাঠা জমির ওপরে শিব মন্দির নির্মাণ করেছিলেন।
আর এবার? বলতে গেলে শেষ সম্বল নিজের ১২ কাঠা জমিও দান করলেন, তাও আবার করবস্থান নির্মাণের জন্যে। স্থানীয় সূত্রে তাঁর কাছে খবর গিয়েছিল জমির অভাবে গ্রামের মানুষকে বাড়ির উঠোনেই মৃত পরিজনদের করব দিতে হয়। আর এটা শোনার পরই নদীর পাড়ে ১২ কাঠা জমি দান করেছেন কবরস্থান নির্মাণে।এখন তাঁর সম্বল বলতে সামান্য কিছু পেনশনের টাকা। কিন্তু সেটাই তাঁর কাছে অনেক। কারণ পূর্ণিমাদেবী হাসতে জানেন, হাসাতে জানেন মানুষকে। দুঃসময়ে তাঁদের পাশে দাঁড়িয়ে তিনি যা পান, কোটি কোটি টাকাও সেই তুলনায় কিছুই নয়। সত্যিই আজ বিভেদের রাজনীতির বেড়াজালে এই ঘটনা সমাজকে চোখে আঙুল দিয়ে জাতপাতের রাজনীতির গালে এক সপাটে চড়।