ভাঙড়ে তৃণমূলের সভায় সাংবাদিক নিগ্রহ
নিউজ ডেস্ক :- ভাঙড়ঃ গত ২১ মার্চ ভাঙড়ের বিজয় গঞ্জ বাজারে সংযুক্তা মোর্চার ডাকে একটি সভা করেন বিমান বসু, আব্বাস সিদ্দিকিরা।সেই সভায় ব্যপক জনসমাগম হয়েছিল।তারই পাল্টা হিসাবে বৃহস্পতিবার একই জায়গায় সভা করে তৃণমূল।প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও সাংসদ শুভাশিস চক্রবর্তী।অভিযোগ, সভার খালি চেয়ারের ছবি তোলার অপরাধে সাকিরুল ইসলাম নামে এক সাংবাদিক কে বেধড়ক মারা হয়, তাঁর মোবাইল ও ক্যামেরার স্ট্যান্ড কেড়ে নেওয়া হয়।সেই সাংবাদিককে যখন উদ্ধার করে মঞ্চের ওপর আনা হয় সেখানেও তাঁর ওপর এক প্রস্থ চড়াও হয় তৃণমূল কর্মীরা।সেই হাতাহাতির ঠেকাতে গিয়ে আবার মার খায় সাহানুর ইসলাম নামে আরেক সাংবাদিক।তৃণমূলের জেলা সভাপতি শুভাশিস চক্রবর্তী ও যুব সভাপতি শওকত মোল্লার সামনেই পুরো ঘটনাটি ঘটে।এই ঘটনার নিন্দা করে শুভাশিস চক্রবর্তী বলেন, ‘সাংবাদিকরা তাঁদের কাজ করবেন, তাঁদের ওপর হাত তোলা উচিত নয়।‘ ভাঙড়ের আই এস এফ নেতা শরিফুল মোল্লা বলেন, ‘ভাঙড়ে তৃণমূলের হার নিশ্চিত।তাই সাংবাদিকরা ফাঁকা চেয়ারের ছবি তোলায় ওরা মাথার ঠিক রাখতে পারেনি।আমরা তীব্র ধিক্কার জানাচ্ছি সাংবাদিক নিগ্রহের।‘
এদিন ফিরহাদের বক্তব্য চলার মাঝেই বহু লোক চেয়ার ছেড়ে উঠে বাড়ির পথে পা বাড়ায়।শেষ বক্তা হিসাবে যখন শুভাশিস চক্রবর্তী বক্তব্য রাখছেন তখন সাকিরুল ফাঁকা চেয়ারের ছবি ভিডিওগ্রাফি করে।তখনই তৃণমূলের বেশ কিছু কর্মী তাঁকে ঘিরে ধরে মোবাইল ও ক্যামেরার স্ট্যান্ড কেড়ে নেয়।শুরু হয় এলোপাথাড়ি চড়,ঘুষি।চেয়ার ছুঁড়েও মারা হয় বলে অভিযোগ।মারামারি ঠেকাতে গিয়েই আহত হন সাহানুর ইসলাম ,তাঁর হাত কাটে।সেই মারামারির ছবি করছিল স্থানীয় এক যুবক।তাকে পাঁচশো মিটার তাড়া করে নিয়ে গিয়ে মারে তৃণমূল কর্মীরা।আরাবুল ইসলাম গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। মঞ্চে তখন বসে শুভাশিস- শওকত-কাইজার-ওহিদুলরা।তৃণমূলের পক্ষ থেকে অবশ্য এই ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করা হয় এবং দোষী কর্মীদের চিহ্নিত করার আশ্বাস দেওয়া হয়।এই ঘটনার বিবিরণ জানিয়ে কাশীপুর থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন নিগৃহীত সাংবাদিক।ভোটের মুখে এ হেন ঘটনায় মুখ পুড়ল শাসকদলের।জেলার এক নির্বাচন আধিকারিক জানান তাঁরাও এই ঘটনা সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তদন্ত করবেন।