ওয়েব ডেস্ক:-চলছে এফ আই আর পর্ব ,বাড়ছে সমস্যা অর্ণব গোস্বামী র। বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না অর্ণব গোস্বামীর। দিন কয়েক আগেই কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর মানহানির অভিযোগে মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা ও ছত্তিশগড় থেকে মোট ১৬টি অভিযোগ দায়ের হয়েছিল সাংবাদিকের বিরুদ্ধে। এবার সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগে বিদ্ধ তিনি। গত মাসে মুম্বইয়ে সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়িয়েছেন অর্ণব। রিপাবলিক টিভি চ্যানেলের সম্পাদকের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ তুলে থানায় এফআইআর করা হল। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মুম্বই পুলিশ।
শনিবার বিশিষ্ট এই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে পাইধনি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। দক্ষিণ মুম্বইয়ের রাজা এডুকেশনাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সচিব তথা নাল বাজারের বাসিন্দা ইরফান আবুবাকর শেখ অর্ণবের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ তোলেন। তাঁর দাবি, অর্ণব গোস্বামী ও রিপাবলিক টিভি উভয়ই মুসলিমদের কাঠগড়ায় তুলছে। তাঁদের প্রতি মানুষের বিদ্বেষ বাড়িয়ে তুলছে। এমনকী গত ১৪ এপ্রিল পরিযায়ী শ্রমিকরা মুম্বইয়ের বান্দ্রা রেল স্টেশনের কাছে ভিড় জমিয়ে যে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন, তার জন্যও মুসলিম সম্প্রদায়কে দায়ি করেছেন অর্ণব। ওই ঘটনায় বান্দ্রার একটি মসজিদের দিকে আঙুল তোলা হয়েছে। যে অভিযোগ সর্বৈব মিথ্যে বলেই দাবি ইরফানের।
গত ১৪ এপ্রিল বাড়ি ফেরার দাবি তুলে বান্দ্রা স্টেশনের কাছে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন আটকে পড়া শ্রমিকরা। লকডাউনের মাঝে যে দৃশ্য আতঙ্ক বাড়িয়েছিল গোটা দেশের। অভিযোগকারী জানান, গত ২৯ এপ্রিল রিপাবলিক টিভির হিন্দির চ্যানেলটিতে সেই ফুটেজই ফের তুলে ধরে মুসলিম সম্প্রদায়কে একহাত নেন অর্ণব। বান্দ্রার একটি মসজিদকে নিশানা করেন তিনি। ইরফান বলেন, “ওই ঘটনার সঙ্গে বান্দ্রা স্টেশনের কাছে মসজিদের কোনও সম্পর্ক নেই। মসজিদের সামনে পরিযায়ী শ্রমিকরা ভিড় জমিয়েছিলেন মাত্র। কিন্তু সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়াতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বারবার মসজিদের উল্লেখ করছিলেন অর্ণব। বলছিলেন, ‘এর থেকে খানিক দূরেই মুম্বইয়ের বান্দ্রায় জামা মসজিদ রয়েছে। আর তার কাছেই হঠাৎ হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমিয়েছেন। কে ভিড়টা করালো? লকডাউনে প্রতিটা মসজিদের পাশেই কেন ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে?’ এভাবেই সমাজে সাম্প্রদায়িক আগুন লাগাতে চেয়েছেন তিনি। শহরের শান্তি ভঙ্গ করতে চেয়েছেন।”
এখানেই থামেননি ইরফান। তাঁর অভিযোগ, এমন একটা নয়, ওই চ্যানেলে সাম্প্রদায়িকতা ছড়ায় এমন অনেক আলোচনা ও বিতর্কই সম্প্রচারিত হয়ে থাকে। এমনকী করোনা সংক্রমণের জন্যও মুসলিমদেরই দায়ি করছে ওই চ্যানেল বলে অভিযোগ তাঁর। ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় অর্ণবের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।
কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকেও নিয়ে ও উনিি বিরুপ মন্তব্য করেন। দেশ যখন এক কঠিন পরীক্ষার সামনে তখন এহেন বিতর্কিত মন্তব্য ও খবর সমাজের কাছে ভূল বার্তা চলে যায়।
সৌজন্য:- সংবাদ প্রতিদিন