উপরের নির্দেশ থাকায় ন্যায়বিচার করতে না পারায় নিজের বুকে গু’লি চালালেন থাইল্যান্ডের বিচারক

Spread the love

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক,অয়ন বাংলা;- হত্যা মামলার আসামিদের সাব্যস্ত করার শক্ত কোনো প্রমাণ ন থাকা সত্ত্বেও ওপরের নির্দেশ ছিল- শাস্তি দিতেই হবে অভিযুক্তদের। কিন্তু শেষ পর্যন্ত চাপ উপেক্ষা করেই আসামিদের বেকসুর খালাস দিলেন বিচারক। এরপর ন্যায়বিচারে বাধা দেয়ার প্রতিবাদ জানালেন সঙ্গে সঙ্গেই।
এজলাসে বসেই পকেট থেকে পিস্তলটি বের করলেন। নিজের বুকেই গুলি চালালেন তিনি। দক্ষিণ থাইল্যান্ডের ইয়ালা আদালত ভবনের তৃতীয় তলায় শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৩টায় ঘটে ঘটনাটি। এ ঘটনার পর দ্রুত বিচারককে হাসপাতালে নেয়া হয়। অপারেশনের পর বর্তমানে তিনি শঙ্কামুক্ত।

এর আগে প্রতিবাদী বক্তব্য দিয়ে সেটা সামাজিক মাধ্যমে পোস্টও করেন। ন্যায়বিচারে এমন নজিরবিহীন প্রতিবাদের জন্য এখন প্রশংসায় ভাসছেন বিচারক কানাকর্ন পিয়ানচানা। নিজের বুকে গুলি চালানোর আগে বিচারক খানাকর্নের লেখা বিবৃতিটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

২৫ পৃষ্ঠার ও বিবৃতি থেকে জানা যায়, তিনি যে মামলার শুনানি করছিলেন তা জাতীয় নিরাপত্তা এবং গোপন সংগঠন, ষড়যন্ত্র ও অস্ত্রবিষয়ক। থানাকর্নের দাবি, মামলায় রায় নিয়ে জ্যেষ্ঠ বিচারকদের মধ্যে মতানৈক্য দেখা দেয়। প্রমাণের অভাবে পাঁচ অভিযুক্তকে খালাস দিতে চেয়েছিলেন খানাকর্ন। তবে জ্যেষ্ঠ বিচারকেরা তাকে তিন অভিযুক্তকে মৃত্যুদণ্ড ও বাকি দু’জনকে কারাদণ্ড দিতে চাপ দেয় বলে ওই বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, ‘এই মুহূর্তে অন্যান্য অধস্তন বিচারকদের সঙ্গেও একই আচরণ করা হচ্ছে যেমনটি আমার সঙ্গে হয়েছে। তাহলে সম্মান ছাড়া বাঁচার চেয়ে আমি মরে যাব।’ থাইল্যান্ডের বিচার বিভাগ ও এর বিচারিক প্রক্রিয়া নিয়ে বেশ অভিযোগ রয়েছে। দেশটির আদালতের রায় বেশিরভাগই পয়সাওয়ালা ও প্রভাবশালীদের পক্ষেই যায়। অন্যদিকে ছোট্ট অপরাধে সাধারণ মানুষকে দেয়া হয় গুরুতর সাজা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.