অয়ন বাংলা,নিউজ ডেস্ক:- জুনিয়ার ডাক্তারদের আন্দোলনের ষষ্ঠদিনে কাটল জট। নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যার্নাজী সঙ্গে জুনিয়ার ডাক্তারদের বৈঠকে বসে প্রায় ১ ঘন্টা ৩০ মিনিট জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকে ডাক্তারদের প্রায় সমস্ত দাবি মেনে নিলেন মমতা। জুনিয়র ডাক্তারদের ৩১ জনের যে প্রতিনিধি দল এদিন নবান্নে পৌঁছয় তাঁদের প্রায় প্রত্যেকের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবং দাবি মানার পর তাঁদের কাছে আন্দোলন তুলে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন তিনি।এদিনের বৈঠকের শুরু থেকেই রোগী পরিবারের হাতে নিগ্রহ বন্ধ করার জন্য একের পর এক বিষয় তুলে ধরেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সেখানে একে একে সমস্যা শোধরাতে মমতা বলেন, সব জেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কোলাপসিবল গেট বসানো হবে। হাসপাতালে এক জন রোগীর সঙ্গে দু’জনের বেশি ভিতরে ঢুকতে পারবেন না। তারাই গিয়ে আত্মীয়দের বাকিদের খবর দেবে। একইসঙ্গে আটকাতে হবে বহিরাগতদের প্রবেশ।
হাসপাতালে কারা ঢুকছে, কত লোক ঢুকছে, তাতে নজরদারি প্রয়োজন। রোগীদের আত্মীয়দের জন্য সরকারের যে অভিযোগ গ্রহণ কেন্দ্র রয়েছে, সে গুলিকে আরও সক্রিয় করার দাবি পেশ করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। নিজের আধিকারিকদের গোটা বিষয়টি দেখার আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি, জুনিয়রদের অভিযোগ ছিল, অনেক সরকারি হাসপাতালে গেট নেই। প্রচুর রেফারেল রোগী। চাপ সামলানো মুশকিল। অনেক সময়ই উত্তেজনা দেখা দেয়। রাজনৈতিক দলের নেতারা ব্যাপক ঝামেলা করেন। আমাদের পক্ষে সামাল দেওয়া সম্ভব হয় না। আপনার দিকে তাকিয়ে রয়েছি। জবাবে মমতা বলেন, একটা জেনারেল সার্কুলার করা যেতে পারে। শৃঙ্খলা মেনে না চললে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।ডাক্তারদের প্রায় সমস্ত দাবি মেনে নেওয়ার পর মমতা বলেন, তোমাদের সমস্ত দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। এবার তোমরা যদি বলে দাও তোমরা আন্দোলন তুলে নিচ্ছ তাহলে আমি খুশি হই। তবে জুনিয়র ডাক্তাররা বলেন, আমরা আলোচনায় খুশি তবে আমরা চাই এতদিন যারা আমাদের সঙ্গে ছিলেন তাঁদের সামনে গিয়ে এই ঘোষণা করি। এরপরই মমতা বলেন, ওখানে যারা রয়েছে তারাও দেখছে। তোমরা বলেছ আমি লাইভও করে দিয়েছি।
ঠিক আছে ওখানে গিয়ে বলবে। তবে এখানে একটু মিষ্টি করে বল, ওখানে জোরালো ভাবে বল। এরপরই মমতা জুনিয়র ডাক্তারদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘লক্ষ্মী ছেলেরা আমার, আন্দোলন তুলে নাও।’ এছাড়াও বৈঠক চলাকালীন জুনিয়ার ডাক্তাররা মুখ্যমন্ত্রীর কথা বলার সময় হাততালি ও দেন।
সবশেষে এটাই সুখবর আন্দোলন উঠছে ,চিকিৎসা ব্যাবস্থা আগের মতো শুরু হোক এটাই কামনা সকল রাজ্যবাসীর।