ওয়েব ডেস্ক:- চাঞ্চল্যকর ঘটনা ,বিজেপির নেতা বাংলার বিজেপির পর্যবেক্ষেক চুপি চুপি হাইকোর্টে ,অভিযোগ যৌন কেলেংকারীতে আগাম জামিনের আবেদন । যৌন হেনস্তা মামলায় গ্রেপ্তারি এড়াতে আদালতের দ্বারস্থ হলেন তিন বিজেপি নেতা। আগাম জামিন চেয়ে আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা। তাঁদের আবেদনের দ্রুত শুনানির আরজি জানিয়ে মঙ্গলবার কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের দ্বারস্থ হন তাঁরা। বিজেপি নেতৃত্বের আবেদন গ্রহণ করেছেন প্রধান বিচারপতি। বুধ বা বৃহস্পতিবার তাঁদের আবেদনের শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে দলেরই এক প্রভাবশালী নেত্রীকে যৌন হেনস্তার অভিযোগ ওঠে বঙ্গ বিজেপির পর্যবেক্ষক তথা কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়র বিরুদ্ধে। নাম জড়ায় প্রদীপ যোশী এবং জিষ্ণু বসুরও। থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ওই নেত্রী। চলছিল তদন্তও। সেই মামলায় তিন নেতার গ্রেপ্তারির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
সেই গ্রেপ্তারি এড়াতে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হলেন তিন নেতা। দ্রুত শুনানির আরজি জানিয়ে আদালতে গেলেন তাঁরা। হাই কোর্ট সূত্রে খবর, তাঁদের আরজি গ্রহণ করেছেন প্রধান বিচারপতি। তবে কবে শুনানি হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়।
প্রসঙ্গত, কয়েক বছর ধরেই বাংলার দায়িত্বে আছেন কৈলাস । লোকসভা নির্বাচনে বঙ্গ বিজেপির সাফল্যের পিছনে তাঁর কৃতিত্বও অস্বীকার করে না গেরুয়া নেতৃত্ব। কিন্তু লোকসভায় বাংলায় ১৮ আসন জয়ের পর থেকেই যেভাবে একের পর এক তৃণমূল নেতাকে তিনি দলে ঢুকিয়েছেন, তা নিয়ে বিজেপির অন্দরেই বহু প্রশ্ন ছিল। ভোটে খারাপ ফলাফল হওয়ার পর সেই প্রশ্ন আরও প্রবলভাবে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। ভোটের ফলের পর প্রথম খড়্গটি কৈলাসের উপরই পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছিল। কিন্তু তা আদপে হয়নি। বরং ব্যর্থতার পরও বাংলার পর্যবেক্ষকের পদে রয়েছেন তিনি। এর মাধঝেই পুরনো মামলা চর্চায় আসায় অস্বস্তিতে পড়েছেন তিনি।
সৌজন্য :- সংবাদ প্রতিদিন